নির্মাণে ত্রুটি থাকলে বাধ্যতামূলক দায় নিতে হবে ভবন মালিককে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ত্রুটিযুক্ত দায় বীমাও করতে হবে। এসব ধারা যুক্ত করে চলতি মাসের মধ্যে জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রানা প্লাজা ধস, তাজরিন ফ্যাশন ও বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ভবনের নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো নিয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। এ অবস্থায় বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশে ভবন নির্মাণে মালিকের দায়বোধের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে শর্ত জুড়ে দেয় বিশ্বব্যাংক। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এ ধারাগুলো যুক্ত করে বিধিমালাটি সংশোধনের তাগিদ দেন। এমনকি ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিধিমালাটি সংশোধনের জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে টাইমফ্রেম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে কর্র্তৃপক্ষের ঢিলেমির কারণে তা সম্ভব হয়নি। গত বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এক সভায় তিনটি ধারা যুক্ত করে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে বিধিমালাটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। তিন নম্বর ধারাটি হলো- ইমারত নির্মাণে সর্বনিম্ন অভিজ্ঞতার শর্ত আরোপ করা। বিধিমালাটি সংশোধনের জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক ও সিডিএকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশে ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২ প্রচলিত আছে। ২০০৬ সালে প্রণীত হয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা। ২০০৮ সালে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা করে রাজউক। তবে ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে বহুতল ভবন নির্মিত হওয়ায় ২০০৬ সালে সারা দেশের জন্য জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালাটি সংশোধন জরুরি বলে মনে করছে বিডা। ভবনের নকশায় ত্রুটি, অনুমোদন না নিয়ে ওপরের দিকে সম্প্রসারণ ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে বিরত রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবন নির্মাণে অবশ্যই ইমারতবিধি মানতে হবে।