বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাস এলেই এক নীরব খেলা শুরু হয়। খেলাটির নাম দেওয়া যায় পদক পদক খেলা। এ খেলার সূচনা হয় বাংলা একাডেমি পুরস্কারের মাধ্যমে, এরপর একে একে একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক ইত্যাদি। আজকাল কোন মন্ত্রণালয় কখন কোন পদক দিচ্ছে তার খোঁজখবর রাখাই দুরূহ। এ জন্য একটা মন্ত্রণালয় খোলা যেতে পারে। প্রতি বছরই পদক নিয়ে কিছু কৌতুক হয়। এমন ব্যক্তি আচমকা পদক পান তিনি নিজেও চমকে যান। গত বছরের কথাই ধরা যাক। গত বছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া এক ব্যক্তি নিজেই চমকে উঠলেন। গণমাধ্যমে বললেন, ‘পুরস্কার পেয়ে আমি খুব খুশি। কিন্তু কেন পেলাম জানি না। হয়তো মন্ত্রণালয় আমার নাম পাঠিয়েছে।’ তীব্র সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির নাম পদক তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। উনি নিতান্তই ভদ্রলোক এবং ভালোমানুষ। তাই অকপটে তার সীমাবদ্ধতা বলেছেন। কিন্তু সমাজে এমন মানুষ আছেন যাদের নাম প্রথমে পদক তালিকায় থাকে না, পরে দেনদরবার এবং তদবির করে নিজেকে তালিকার মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশে যে পদকগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে তা সবই যে ‘অযোগ্য’দের হাতে যাচ্ছে তা নয়, কিন্তু দু-একটি এমন বিভ্রাট হচ্ছে তাতে যাদের মর্যাদার স্বীকৃতি হিসেবে পদক দেওয়া হচ্ছে তাদের বরং মর্যাদাহানিই ঘটছে। বলা হয়, এমন একজন ব্যক্তিকে স্বীকৃতিসূচক পুরস্কার দেওয়া হোক যাতে ওই পুরস্কার বা পদকটিই সম্মানিত হয়। কিন্তু এখন পদক প্রাপ্তির জন্য হঠাৎ এমন ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া হয় যাতে পদকই লজ্জায় মুখ লুকোয়। বাংলাদেশে এখন পদকের জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে খোঁজা হয় না। ‘যোগ্য ব্যক্তি’ নানা কসরতে পদকদাতাদের কাছে নিজেকে উদ্ভাসিত করার এক অদ্ভুত খেলায় মেতে ওঠেন।
বাংলাদেশে পদক খেলার সূচনা করে বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ দেশে পদক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। কয়েক বছর আগের ঘটনা। বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘোষিত হলো। প্রবন্ধে যিনি পুরস্কার পেলেন তাকে চিনতে পারলাম না। বইমেলায় গিয়ে ঘুরে তার একটিও প্রবন্ধ বই খুঁজে পেলাম না। আমি নাছোড়বান্দা। পরে বাংলা একাডেমির এক সুহৃদ বন্ধু তার একটি প্রবন্ধগ্রন্থ আমার হাতে তুলে দিলেন। আধুনিক কৃষি পদ্ধতি নিয়ে তিনি প্রবন্ধ লিখে প্রবন্ধ সাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন! বাংলা একাডেমি এ বছর ১০ জনকে সাহিত্য পুরস্কার দিয়েছে। ২০১৮ সালে দিয়েছিল চারজনকে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামের পাশে থাকে কোন বিষয়ের জন্য তিনি পদক পেলেন। যেমন কবিতা- মুহাম্মদ সামাদ। এখন প্রশ্ন হলো, কোন কবিতার জন্য কিংবা কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেলেন? খুঁজে পেতে দেখলাম বিশ্বের প্রায় সব স্বীকৃত সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয় বিশেষ গ্রন্থের জন্য অথবা তার সারা জীবনের কর্মকান্ডের জন্য। কিন্তু বাংলা একাডেমি কীসের ভিত্তিতে পুরস্কার দেয় সেও এক গবেষণার বিষয় বটে।
আমাদের এক অগ্রজ ছড়াকার ছিলেন। করোনা তাকে নিয়ে গেছে। সরকারি চাকরি করলেও অন্তঃপ্রাণ ছিলেন সাহিত্যে। মুখ ভরে পান খেতেন। কথা বলতেন ছড়ায় ছড়ায়। তিনি তার জীবিতকালে প্রতি বছর নভেম্বর এলেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করতেন। অনেক ছড়ার বই নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন এখানে-সেখানে। কিন্তু অনেক চেষ্টা-চরিতার্থ করেও তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারটা পকেটে নিতে পারেননি। সত্য-মিথ্যা জানি না, তিনি বিশ্বাস করতেন বাংলা একাডেমির পুরস্কার জোটে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। একটি সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ অনাকাক্সিক্ষত, অনভিপ্রেত। বাংলা একাডেমি পুরস্কার তাও বিভাগ থাকে যেমন কবিতা, প্রবন্ধ, কথাসাহিত্য ইত্যাদি। কিন্তু একুশে পদক যেন বাজারে ঝোলানো রেডিমেড পাঞ্জাবির মতো। যার সাইজে মিলবে তিনিই গায়ে চড়াবেন। এবার একুশে পদকে ২১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য তিনজন। শিল্পকলায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সাতজন, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনজন। ভাষা ও সাহিত্যের জন্য তিনজন। সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা এবং অর্থনীতির জন্য একজন করে। গত বছরও দেওয়া হয়েছিল ২১ জনকে। গত বছর নৃত্যে একুশে পদক দেওয়া হয়েছিল, চিকিৎসায় দেওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে দেওয়া হয়েছিল। এবার চিকিৎসায় কেউ একুশে পদক পেলেন না কেন?একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ প্রশ্ন আমি করতেই পারি। কারণ গত একটা বছর এ দেশের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম করেছেন করোনা মোকাবিলায়। করোনায় মৃত্যুবরণ করা সেই অকুতোভয় স্বাস্থ্যকর্মীরা একুশে পদক পেলে গোটা জাতিই খুশি হতো। এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন পাভেল রহমান। সারা জীবন পাভেল রহমানকে চিনে এলাম সাংবাদিক হিসেবে। তিনি একজন ফটোসাংবাদিক হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু তাকে পুরস্কার দেওয়া হলো শিল্পকলায়। সাংবাদিকতায় একুশে পদক নিয়ে কিছু না বলাই শ্রেয়। কাউকে ছোট করাও আমার এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। এবার করোনায় যে গণমাধ্যমকর্মীরা মারা গেলেন তা ছিল আমাদের সাংবাদিকতায় মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় ত্যাগ। তাদের কি আমরা একটা স্বীকৃতি দিতে পারতাম না? একজন নারী সাংবাদিক প্রথমবারের মতো জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হলেন। এটা কি আমাদের সাংবাদিকতায় একটি মাইলফলক নয়?
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি হলো ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’। এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পুরস্কার। স্বাধীনতা পুরস্কার ইদানীং ব্যাপক, কৌতুক, চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এবার পুরস্কারের আগেই মনোনয়ন প্রস্তাব আহ্বানসংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সার্কুলারটি আমাকে ব্যাপক আনন্দ দিয়েছে। ওই চিঠিতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে এবং যারা আগে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে নাম বা প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে। এটুকু হলে আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কেবল নাম দিলেই হবে না, ওই আবেদন একটি নির্ধারিত ছকে পূরণ করে তার ৩০ সেট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে হবে। ওই ছক দেখে তো আমার ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। নানা তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে ওই ছক। একটি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ কীভাবে বাছাই করবে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে? একজন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির পক্ষে কি আদৌ সম্ভব একজনের নাম প্রস্তাব করে তার সব তথ্য সংগ্রহ করে ৩০ সেট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া? ফলে বিষয়টির দুই রকম সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
প্রথমত. আপনি যদি পুরস্কার পেতে চান তাহলে আপনাকে কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কর্তাব্যক্তির সঙ্গে খাতির করতে হবে। তাদের পটাতে হবে। তারপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই ছক আপনাকে পূরণ করতে হবে, ৩০ সেট বানাতে হবে। সচিবের কাছে দিনের পর দিন ধরনা দিয়ে তার অনুমোদন নিতে হবে। কারণ সরকার কাঠামো সম্পর্কে যাদের ন্যূনতম ধারণা আছে তারা জানেন, কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের এ রকম সময় এবং দায় নেই যে তারা একজন যোগ্য মানুষ বা প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করবেন, তাদের কাছ থেকে তথ্য নেবেন, যত্ন করে ছক পূরণ করে জমা দেবেন। একইভাবে যাঁরা অতীতে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে যদি আপনার পরিচিত ঘনিষ্ঠ বা আত্মীয় থাকে তাহলে আপনি তাঁকে ম্যানেজ করে তাঁর একটি সম্মতি স্বাক্ষর নিতে পারেন। অর্থাৎ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রাপ্তির জন্য আপনাকেই উদ্যোগ নিতে হবে, অন্যথায় আপনি এ পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না।
অবশ্য আপনি যদি পদক পেতে চান তাহলে আপনার জন্য সহজ বিকল্প আছে। আপনি একজন প্রভাবশালী ‘দালাল’ বা মিডলম্যান ধরলেন। ওই দালাল আপনার পক্ষে সব কাজ করে দেবেন। আপনি শুধু বসে মুচকি মুচকি হাসবেন। তবে এ জন্য আপনার পকেট ভারী থাকতে হবে। আর এখান থেকেই আমার মাথায় এক উদ্ভাবনী ব্যবসার চিন্তা এলো। এখন যেমন ব্যাংকের ঋণ প্রস্তাব তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এনজিওদের জন্য প্রজেক্ট প্রপোজাল লেখার জন্য কনসালটিং ফার্ম রয়েছে। তেমনি পদক পাইয়ে দেওয়ার জন্যও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারে। এ প্রতিষ্ঠান পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেবে। বিজ্ঞাপনের ভাষা এ রকম হতে পারে- ‘আপনি কি পদক চান? একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার অথবা অন্য কোনো পদক? আপনার পদক প্রাপ্তির যাবতীয় কাজ আমরা নিখুঁত এবং নির্ভুলভাবে করে দেব। ১০০% গ্যারান্টি। পদক না পেলে মানি ব্যাক।’... এমনকি এ প্রতিষ্ঠান আরেকটু বৃহৎ পরিসরে চিন্তা করতে পারে। ধরা যাক, একজন বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার চান। ওই প্রতিষ্ঠান তার জন্য কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লিখে ফেলল। ভালো ঝকঝকে প্রেসে একেবারে আন্তর্জাতিক মানের একটি গ্রন্থ বেরিয়ে গেল দ্রুত সময়ের মধ্যে। ওই গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানও হতে হবে ব্যাপক জাঁকজমকপূর্ণ, কোনো পাঁচ তারকা হোটেলে। বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে কোনো ডাকসাইটে মন্ত্রীকে। লক্ষ্য রাখতে হবে তিনি পদক কমিটির সভাপতি অথবা প্রভাবশালী সদস্য যেন হন। বইয়ের ওপর আলোচক হিসেবে থাকবেন কিছু সুশীল। মনে রাখবেন, দড়ি ছাড়া বলদ যেমন বিপজ্জনক, এখানে ওখানে ছোটাছুটি করে, তেমনি দিকনির্দেশনাহীন সুশীলও ক্ষতিকর। তাই তারা কী বলবে তা আগেই ঠিক করে দিতে হবে। বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের খবর যেন সব পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আরেকটা কথা ভুলবেন না, এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ। আপনার বইয়ের প্রচারণা ফেসবুক, ইউটিউবে থাকতেই হবে। ব্যস, আপনি এখন ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ কিংবা ‘একুশে পদক’ প্রাপ্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এবার আপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করবে পদক কমিটিতে কারা আছেন। তাদের ম্যানেজ করা হবে। অবশেষে পদক পেয়ে আপনি জাতির বিবেকে পরিণত হবেন।
এ রকম একটি ভাবনা আসার কারণ একটাই। তা হলো, এখন যেভাবে পদক বিতরণ হচ্ছে তাতে সত্যিকারের যোগ্য ব্যক্তিদের জন্য পদক প্রাপ্তির দরজা ক্রমে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। তার মানে এই নয়, যারা পদক বা পুরস্কার পাচ্ছেন তারা অযোগ্য। আমি জানি লজ্জায় এদের অনেকেই মুখ ফুটে বলবেন না, যোগ্য ব্যক্তিদেরও পদকের জন্য ইদানীং দেনদরবার, তদবির করতে হয়। একসময় যোগ্য মানুষের সংখ্যা এ পদকপ্রাপ্তের তালিকায় আরও কমতে থাকবে। যেমনটা হয়েছিল ভারতে। ভারতে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় পদক হলো ভারতরত্ন। এরপর তিন শ্রেণির পদ্মপদক। এগুলো হলো পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী। বাংলাদেশের মতোই এ পদকগুলোর জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হতো মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। সেটি করতে গিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ২০১৫ সালে ভারত সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব প্রথা বাতিল করে। সাধারণ নাগরিকদের জন্য অনলাইনে নাম প্রস্তাব করার ব্যবস্থা চালু করে। এখন ভারতে পদক বিতর্ক অনেক কম।
প্রায়ই শুনি আমাদের সরকারি দফতরগুলো কাজের চাপে ন্যুব্জ। এ করম ব্যস্ত সরকারি মন্ত্রণালয়গুলোর পক্ষে কি আদৌ সম্ভব নির্মোহভাবে খুঁজে বের করা ‘সম্মানিত করার’ জন্য মানুষটিকে? পদক দেওয়ার প্রস্তাব কেন মন্ত্রণালয়গুলোকে দিতে হবে? ‘পদক’ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নিজের লোক, পরের লোক খুঁজতে হবে? একজন যদি তার কাজের ক্ষেত্রে সম্মানিত হওয়ার যোগ্য হন তাকে কেন সেই সম্মান দিতে অনীহা হবে। নাকি পদক দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনুগত, আজ্ঞাবহ খুঁজতে হয়। সুকুমার রায়ের বাবুরাম সাপুড়ের মতো ‘যে সাপের চোখ্ নেই, শিং নেই নোখ্ নেই, ছোটে না কি হাঁটে না, কাউকে যে কাটে না, করে নাকো ফোঁস্ ফাঁস্, মারে নাকো ঢুঁশ্ ঢাঁশ্, নেই কোন উৎপাত, খায় শুধু দুধ ভাত- ...’
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।