নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছয়জনের খোঁজ মেলার পর সচেতন মহলে উৎকণ্ঠা বেড়েছে। যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছয়জন গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসেন। যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের যে পরিবর্তিত সংস্করণের বিস্তার ঘটেছে তার সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি। বাংলাদেশ করোনা নামের ভয়াবহ ভাইরাস প্রতিরোধে সাফল্য দেখালেও এর নতুন সংস্করণের থাবা বিস্তৃত হলে তা অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে এমন আশঙ্কাই করা হচ্ছে। স্মর্তব্য, গত জানুয়ারির শুরুতে যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের মধ্য থেকে প্রথম নতুন ধরনের করোনা শনাক্ত হয়। প্রথম যে যাত্রীর শরীরে নতুন এ ধরন শনাক্ত হয় তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তার শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে আইইডিসিআর যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত করে। এরপর সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে নামা যাত্রীদের মধ্যেও ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ছয়জন শনাক্ত হওয়ায় এটি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্কতার তাগিদ সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পরই দেশটি থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের ব্যাপারে নানা সতর্কতা নেওয়া হয়। ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকেই বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অনেক দেশ সতর্কতার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করলেও বাংলাদেশ তা করেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি সুরক্ষার স্বার্থে শুধু যুক্তরাজ্য নয়, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিষয়েও সতর্ক থাকা জরুরি। পাশাপাশি টিকাদান প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। মাস্ক ব্যবহারে যে অনীহা রয়েছে তা রোধে সরকারকে কড়া হতে হবে। কা-জ্ঞানহীন প্রবণতায় লাগাম টানতে মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলে জরিমানার ব্যবস্থা থাকা দরকার।