ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট গ্রুপ (এনআইটিইজি) বেশ কয়েকটি টিকার ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিল, এর মধ্যে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি অন্যতম। মঙ্গলবার এ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এ অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঔষধ প্রশাসনের স্পুটনিক-ভি টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়া টিকার সংখ্যা দাঁড়াল ২। ল্যানসেটের গবেষণা প্রবন্ধে দেখা গেছে, রাশিয়ার টিকার কার্যকারিতা ৯১ শতাংশের কিছু বেশি। মাঠ গবেষণায় দেখা গেছে, কার্যকারিতা ৯৬ শতাংশের বেশি। টিকাটি ৫০টির বেশি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন এখনো পায়নি। ধরে নেওয়া হয় বৈজ্ঞানিকভাবে কার্যকর ও নিরাপদ বলে বিবেচিত ওষুধ ও টিকা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা ওই দেশগুলো অনুমোদন দেয়। ইতিমধ্যে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ এ টিকা নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য টিকা এখন জরুরি। হয়তো এ কারণে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের জন্য বসে থাকতে চাইছেন না কর্তৃপক্ষ। মূলত ভারত থেকে টিকা আসা অনেকটা অনিশ্চিত হওয়ার পর সরকার ১৯ এপ্রিল আট সদস্যের ‘কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির উৎস ও সংগ্রহসংক্রান্ত কোর কমিটি’ গঠন করে। যে কোনো ওষুধের অনুমোদনের জন্য আমদানিকারককে টিকার অনুমোদন পরিস্থিতি, ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা রিপোর্ট, টিকার মূল্য, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, দ্রুততম সময়ে সরবরাহের নিশ্চয়তা, কার্যকারিতা, কতটা নিরাপদ- এসব তথ্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে জমা দিতে হয়। টিকা সংকটের কারণে রবিবার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার অপেক্ষায় থাকাদের মধ্যে ১৩ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য মজুদ সরকারের হাতে নেই। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে।