সোনা রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের সামনে। সোনালি এ সুযোগ সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত অনুসারে এখন থেকে অপরিশোধিত বা আকরিক সোনা এবং হীরাসহ অন্যান্য ধাতু বিদেশ থেকে এনে তা পরিশোধন করে দেশের চাহিদা মেটানো ও রপ্তানির সুযোগ মিলবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনপ্রাপ্ত ‘স্বর্ণ নীতিমালা, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২১)’ অনুসারে বিদেশ থেকে সোনার বার ও অলঙ্কারের পাশাপাশি অপরিশোধিত আকরিক এবং আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানি করা যাবে। পরে তা দেশে পরিশোধন করে বিভিন্ন গ্রেডের সোনার বার তৈরি করার সুযোগ হবে। সোনা পরিশোধনাগার স্থাপন ও পরিচালনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি মান ঠিক করে দেবে। যারা সোনার বার রপ্তানি করতে চান তাদের অবশ্যই পরিশোধনাগার থাকতে হবে। নিজস্ব ব্যবসার জন্য স্বর্ণবার আমদানির ক্ষেত্রে জামানত প্রয়োজন হবে না। স্বর্ণালঙ্কার উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় দেশ এবং ভারত ও চীন অন্যতম। আর প্রধান আমদানিকারক দেশ হিসেবে আছে সুইজারল্যান্ড, চীন, যুক্তরাজ্য, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলজিয়াম, জার্মানি ও সিঙ্গাপুর। এসব দেশের সঙ্গে এখন থেকে বাংলাদেশের নাম যুক্ত হবে। বাংলাদেশ ও ভারত সারা বিশ্বের হাতে তৈরি সোনার অলঙ্কারের ৮০ ভাগ উৎপাদনকারী। বাংলাদেশের কারিগরদের তৈরি সোনার অলঙ্কার অতি আকর্ষণীয় হওয়া সত্ত্বেও সোনা আমদানিতে নানা বাধা থাকায় এ ক্ষেত্রের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়নি। আকরিক সোনা, হীরাসহ অন্যান্য ধাতু বিদেশ থেকে আমদানির সুযোগ এবং পরিশোধন করে সোনার বার সোনার অলঙ্কার বানিয়ে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। অর্জিত হবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা।
দেশের অর্থনীতির জন্য বয়ে আনবে আশীর্বাদ।