রাজধানীর সঙ্গে গাজীপুরের সড়ক যোগাযোগ যানজটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে যাতায়াতেও যানজট প্রায়ই বিসংবাদ হয়ে দাঁড়ায়। যানজট এড়াতে রাজধানীর সঙ্গে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের রেল যোগাযোগ বাড়ানোর জনদাবি সত্ত্বেও সেদিকে এত দিন নজর দেওয়ার গরজ অনুভব করেননি কোনো কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, বাস মালিকদের অতি ক্ষমতাবান সিন্ডিকেটের কারসাজিতে রাজধানীর সঙ্গে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত করার চেষ্টা চলেছে। অবশেষে জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কে নিত্য যানজটের দুর্ভোগ এড়াতে রবিবার সকাল থেকে গাজীপুর-ঢাকা রুটে তিনটি বিশেষ ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে। সকালে তুরাগ এক্সপ্রেস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু হয়। করোনাকালে অর্ধেক আসন খালি রেখে ট্রেনগুলো চলবে। শুরুর দিন কিছুটা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশে প্রথম ছেড়ে গেলেও ট্রেন চালু করায় খুশি যাত্রীরা। তবে টিকিট ও বগির সংখ্যা বাড়ানোর দাবি গাজীপুর-কমলাপুর রুটের যাত্রীদের। লকডাউন-পরবর্তী তুরাগ, টাঙ্গাইল কমিউটার ও ডেমু ট্রেন পুনরায় চালু উপলক্ষে রবিবার সকালে জয়দেবপুর জংশনে গাজীপুর প্যাসেঞ্জারস কমিউনিটির আলোচনা সভা হয়। সভায় তুরাগ ট্রেনের মাসিক টিকিট চালু, বগির সংখ্যা বাড়ানো, গাজীপুরে বরাদ্দ টিকিটের সংখ্যা বাড়ানো এবং রেলওয়ে জংশনের পরিবেশ উন্নত করার দাবি জানানো হয়। ঢাকা-গাজীপুর সড়ক রুটের ওপর চাপ কমাতে তিনটি বিশেষ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে যাত্রীদের স্বচ্ছন্দ নিশ্চিত করতে ট্রেনের বগি বাড়ানো এবং চলাচলে সময় মেনে চলতে হবে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের যানজট কমাতে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন চালুর কথা ভাবা যেতে পারে। বর্তমান সরকার ট্রেন সার্ভিসের প্রতি নজর দিচ্ছে এবং এটি একটি ভালো দিক। আমরা আশা করব একই সঙ্গে সময়ানুবর্তিতা ও সেবার দিকেও নজর দেওয়া হবে।