বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্যার থাবা বাড়ছে

বিপন্নদের পাশে দাঁড়াতে হবে

দেশে চলতি বছর বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম হলেও উজান থেকে আসা ঢলে প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে তিস্তায় শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে জনমনে হাহাকার দেখা দেয় ফিবছর, সে নদীর পানিও প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। সঙ্গে রয়েছে নদী ভাঙন। যা কেড়ে নিচ্ছে হতভাগ্যদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন। রাতারাতি অনেক সম্পন্ন পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের কারণে হাওরে বাড়ছে পানি, তলিয়ে গেছে রোপা আমন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেঘনা অববাহিকা ছাড়া দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও অব্যাহত ভাঙনে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না ও পাটিকাপাড়ার ২ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে চর সিন্দুর্নার কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ-মাদরাসা। চিলমারী গ্রামের শতাধিক বাড়িও বিলীন হয়ে গেছে।

বন্যা বাংলাদেশের একটি সাংবৎসরিক সমস্যা এবং এ সমস্যার অনুষজ্ঞ হয়ে আসে আশীর্বাদও। বন্যায় যে পলি জমে তা জমির উর্বরতা বাড়ায়। নদী ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি থাকায় বাংলাদেশে প্রতি বছরই বন্যা ছোবল হানছে। কেড়ে নিচ্ছে কৃষকের ফসল। দেশবাসীর খাদ্য জোগায় যারা তাদের মেরুদন্ড ভেঙে পড়ছে। বন্যা সমস্যার সমাধানে নদ-নদীর ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিতে হবে নদীতে শক্ত বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ। এ কার্যক্রমে প্রতিটি এলাকার কৃষককে সম্পৃক্ত করতে হবে। এটি সম্ভব হলে শুষ্ক মৌসুমেও নদ-নদীতে সেচের পানি থাকবে। বাড়বে মাছ চাষ। সাংবৎসরিক ফসলহানি এড়ানো সম্ভব হবে। বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার ও সমাজের সম্পন্ন মানুষের দাঁড়ানো কর্তব্য বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর