করোনার কারণে সবার আগেই বন্ধ হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। ভালো না হলে খুলবে না। গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। করোনার কারণে প্রায় ১৬ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে আছে। শহরাঞ্চলের কিছু শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাসের সুযোগ পেলেও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের তেমন সুবিধা সে অর্থে নেই। ফলে দরিদ্র পরিবারের অনেক শিশুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে অনেক পরিবারের শিশু কাজে যুক্ত হয়ে পড়ছে। করোনাভাইরাস মহামারীর পর সারা বিশ্বে ১ কোটি শিশু আর বিদ্যালয়ে ফিরবে না বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের গবেষণায় যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা আমাদের জন্যও বেশ উদ্বেগজনক। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি এখন নিম্নমুখী। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৫ অক্টোবর খুলে দেওয়া হবে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টিকাদানসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ইউজিসিকে জানাবে। ইউজিসি এসব তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয় যে এক দিনে খুলে দিতে হবে এমন নয়। কেউ যদি মনে করেন পাঠদান কার্যক্রম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু করতে সময় লাগবে তবে তিনি পরেও খুলে দিতে পারবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর অনেক বড়, শিক্ষার্থীও অনেক বেশি। এ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার প্রস্তুতিতে হয়তো একটু বেশি সময় লাগতে পারে। শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকার পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা যত প্রলম্বিত হোক শিক্ষা কার্যক্রম আর বন্ধ রাখা চলে না। জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন করোনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছে এবং হচ্ছে, শিক্ষার ক্ষেত্রেও তেমন চেষ্টা করতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার প্রতি যথাযথ গুরুত্বও দিতে হবে।