বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সমস্যাক্রান্ত চট্টগ্রাম

সেবাদানকারীদের এক ছাতার নিচে আনুন

চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। এ মহানগরসংলগ্ন সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ সম্পন্ন হয়। বলা হয়, চট্টগ্রামের উন্নয়নের ওপর দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভরশীল। কিন্তু চট্টগ্রামের উন্নয়নকাজে সমন্বয়হীনতা থাকায় এ মহানগর সমস্যার নগরে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরের উন্নয়ন ও সেবা কার্যক্রমে সমন্বয় আনতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরসমূহের সমন্বয়ের জন্য পরিপত্র জারি করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ওই বছরের ৩ আগস্ট ও ২০১৭ সালের ২৩ মে দুটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সভায় সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ২৮ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় সভার পর থেকে আর কোনো সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো যে যার মতো সমন্বয়হীনভাবে উন্নয়নকাজ করায় নগরবাসীর ভোগান্তি বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোই সমন্বয়ে আগ্রহী নয়। কারণ সেটি হলে ‘এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই’ তত্ত্বের প্রয়োগ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে দীর্ঘ বিরতি শেষে জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ২৬ জুন সব পক্ষকে নিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। বৈঠকে বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান এবং সিটি মেয়র ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করে তদারকি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি প্রতি মাসে প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বাস্তবে এখন পর্যন্ত সমন্বয়ের কোনো সুফল চোখে পড়ছে না। চট্টগ্রাম শুধু নয়, রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের সেবা কার্যক্রমে গতি সৃষ্টি করতে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে সরকার ও সিটি করপোরেশনের দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ভূমিকাও প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর