তৈমুর মঙ্গোল সাম্রাজ্যের খান হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চেঙ্গিস খানের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক না থাকায় তিনি মঙ্গোলদের আমির হিসেবে শাসন করেন। তিনি রণকৌশলে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। তাই ক্ষমতালাভের কয়েক বছরের মাথায় অনায়াসেই পুরো মধ্য এশিয়ার অধিপতি হয়ে যান। কিন্তু তৈমুর আরও চান। তিনি চেঙ্গিসের মতো পৃথিবী শাসন করতে চান। তৈমুর তাঁর সামনে চেঙ্গিস খানের মানচিত্র মেলে ধরেন। পুরো মানচিত্রে একবার চোখ বুলিয়ে নেন তিনি। এতে তাঁর বিশ্বজয়ের আকাক্সক্ষা আরও বেড়ে গেল। পরদিনই তিনি বিশাল সেনাবহর নিয়ে বিশ্বজয়ে বের হন। তৈমুরের অভিযানের খবর পেয়ে ক্ষমতাচ্যুত মঙ্গোল খান তোকতামিশ তৈমুরের সাহায্য প্রার্থনা করেন। তোকতামিশ খান শত্রুদের হাতে রাশিয়ার মসনদ হারিয়েছিলেন। তৈমুর লং বিশাল সেনাবহর নিয়ে রাশিয়া আক্রমণ করেন এবং তোকতামিশ খানকে রাশিয়ার হৃত সিংহাসন ফিরিয়ে দেন। এর পরই তৈমুর পারস্যের দিকে রওনা হন। তৈমুরের পারস্য অভিযান শুরু হয় হেরাত নগর দখলের মাধ্যমে।
প্রথম দিকে কার্তিদ সাম্রাজ্যের রাজধানী হেরাত তৈমুরের কাছে আত্মসমর্পণে অপারগতা প্রকাশ করে। তৈমুর যেন এ সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি হেরাতের সব নাগরিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার আদেশ দেন।