রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মাঘের বৃষ্টি

রোগবালাই থেকে সচেতন থাকতে হবে

মাঘ শেষের দিকে। আর কদিন পরই ঋতুরাজ বসন্ত। অথচ শুক্রবার দিনভর দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। বিপাকে পড়ছে প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষ। দেশের অনেক এলাকায় শেষ মাঘেও চলছে শীতের দাপট। ঢাকার বাইরে বেশি বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ ছিল বেশি। অনেক জায়গায় পানি জমে গেছে। ফসলের মাঠে বিশেষ করে আলু খেতে পানি জমায় কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছে। দিনভর বৃষ্টিতে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়ে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশের একাধিক স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। উত্তরাঞ্চলে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ব্যাহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আমরা সবাই জানি, বৃষ্টি নির্ভর করে ঋতু ও মহাকাশের অবস্থার ওপর। বাংলাদেশে শীত মৌসুম অর্থাৎ নভেম্ব^র থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কম বৃষ্টি হয়। এ সময় পরিবেশ খুব শুষ্ক থাকে। অন্যদিকে বর্ষাকালে বিশেষ করে জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টি হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের হিসাব অনুযায়ী ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বৃষ্টি হয় এ সময়। কিন্তু মাঘের বৃষ্টি আমাদের উপকারের পাশাপাশি বেশ ক্ষতিও সাধন করে। এর ফলে ঠাণ্ডা ও পানিবাহিত রোগ যেমন জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এ সময় সুষম খাদ্য, প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে। ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর