সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মহেশখালী মাতারবাড়ী

বাংলাদেশকে পাল্টে দেওয়ার প্রকল্প

বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বঙ্গোপসাগরের কূলঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা দ্বীপ মহেশখালী মাতারবাড়ীকে নিয়ে প্রস্তাবিত প্রকল্প। এ মহাকর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হবে। এর অর্ধেকের কিছু বেশি অর্থ অর্থাৎ ১ হাজার ২৪ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাপান। বাংলাদেশের মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। মহেশখালী-মাতারবাড়ীকে নিয়ে এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে জাপানের কিয়াসু দ্বীপের অভিজ্ঞতা নিয়ে। দেশকে শিল্পোন্নত করতে গত শতাব্দীর ষাট দশকে জাপান যে ‘প্যাসিফিক বেল্ট’ নীতি গ্রহণ করে তারই উদ্যোগ হিসেবে দেশটির রাজধানী টোকিওর উত্তর দিক থেকে কিয়াসু দ্বীপের ওসাকা পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার এলাকা শিল্পায়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়। যেটি বাস্তবায়নের পর ১০ বছরে জাপানের মাথাপিছু জাতীয় আয় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বর্তমানে ওই প্যাসিফিক বেল্টে ১০টি বড় আকারের অর্থনৈতিক জোন রয়েছে, যেখানে প্রায় পাঁচ লাখ শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। দেশটির মোট উৎপাদনের ৮০ শতাংশ আসে সেখান থেকে আর লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ওইসব কলকারখানায়। কিয়াসু দ্বীপের ওই অভিজ্ঞতা থেকে এখন মহেশখালী-মাতারবাড়ীকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জোনে একই রকম অর্থনৈতিক হাব গড়ে তুলতে চাইছে জাইকা।  যেখানে থাকবে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০২৪ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২০৩১ সালের মধ্যে গভীর সমুদ্রবন্দর উপযোগী করে বন্দর সম্প্রসারণ, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং তৃতীয় পর্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন, প্রাথমিক এনার্জি সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানাসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। বলা যায়, বাংলাদেশকে পাল্টে দিতে এ প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উন্নয়নের জাপানি কৌশল বাস্তবায়িত হলে ব্যাপকহারে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর