সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্বাচন কমিশন

সার্চ কমিটির দিকে চেয়ে সারা জাতি

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এখন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। সার্চ কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সুশীল সমাজের এ যাবৎ যারাই কথা বলেছেন তারা এমন একটি নির্বাচন কমিশন চেয়েছেন, যার সদস্যরা বর্তমান কিংবা অতীতের কোনো সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত নন। সৎ, যোগ্য ও সাহসী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী লোকদের নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে দেখতে চেয়েছেন তারা। কমিশনে নারী, সংখ্যালঘু ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের রাখারও পরামর্শ এসেছে সুধীজনদের পক্ষ থেকে। দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো সংলাপে অংশ নেয়নি। সার্চ কমিটির সঙ্গেও যোগাযোগ করেনি তারা। ফলে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সমাজ ও দেশের সব অংশের মতামত নেওয়া সার্চ কমিটির পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ বলেছেন, বিএনপি ও আরও কিছু রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে যেমন যায়নি তেমন সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাবও করেনি। কিন্তু তারপরও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনে যদি ভালো ও সাহসী লোক না যায় তাহলে কোনো লাভ নেই। কেবল সরকার পরিবর্তন হলেই হবে না। তারা বিএনপিকে আবারও আলোচনায় ডাকতে সার্চ কমিটিকে প্রস্তাব দিয়েছেন। বিএনপি সংশ্লিষ্ট একজন বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য, নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপিরও ভূমিকা রাখা উচিত। বিএনপির সরকার হটানোর আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন গঠনেও মনোযোগী হওয়া উচিত। সার্চ কমিটি যাদের নাম প্রস্তাব করবে তারা যেন সৎ, নিষ্ঠাবান ও যোগ্য হন। আর্থিক মোহ বা যে কোনো মোহের বাইরে থেকে যেন নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করতে পারেন- এমন পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বিশিষ্টজনদের পক্ষ থেকে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আজ বিদায় নেবে। শিগগিরই শপথ নেবে নতুন নির্বাচন কমিশন। যে নির্বাচন কমিশনের কর্তব্যই হবে নিজেদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা। জাতিকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া। সে প্রত্যাশার প্রতিফলন যেন থাকে সার্চ কমিটির ইসি সংক্রান্ত নাম প্রস্তাবে। সারা জাতির দৃষ্টি এখন সেদিকে নিবদ্ধ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর