শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে

করোনাভাইরাসের থাবা শিথিল হয়ে আসার পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মানুষের টিকাদান সম্পন্ন হওয়ায় ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, যেহেতু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সবাইকে ইতোমধ্যে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে এবং সেই সঙ্গে করোনা সংক্রমণের হারও অনেকটাই কমে এসেছে তাই ২২ ফেব্রুয়ারি ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করবে। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া এখনো সম্ভব না হওয়ায় তাদের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে ফেরানো হচ্ছে না। বরং আরও কিছুদিন, মোটামুটি দুই সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে বুধবারের বৈঠকে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সুপারিশ করে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের সিদ্ধান্ত এ সম্পর্কিত অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাবে। আশা করা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও অচিরে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। করোনাভাইরাস সারা দুনিয়ায় জনস্বাস্থ্যের জন্য মহাক্ষতির কারণ ঘটিয়েছে। অর্থনীতির জন্য ডেকে এনেছে বিপর্যয়। শিক্ষা ক্ষেত্রের ক্ষতিও অপূরণীয়। আশা করা যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সব মহল তৎপর হবে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাড়তি উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর