শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক যাত্রী হয়রানি

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অভিনন্দনযোগ্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন, মার্চ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেম সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ১ কোটির মতো প্রবাসী বিভিন্ন সময় দেশে ছুটিতে আসেন। তারা এসে বিমানবন্দরে যাতে হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি আরও সহজ হবে সব সেবা ডিজিটালাইজ করলে। টিকিটিং, রিজারভেশন, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চেক-ইন সবকিছু অনলাইনে হবে। এটা আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। পৃথিবীর সব দেশে এ ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা এ ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে ছিলাম। বিমান বাংলাদেশের ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৮টিই নিজস্ব মালিকানাধীন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। করোনার সময়ও কিন্তু নির্মাণকাজ বন্ধ হয়নি। কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেই এসব করা হচ্ছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যের দাবিদার। দুনিয়ার প্রতিটি দেশ তাদের বিমানবন্দরে যাত্রীরা যাতে প্রত্যাশিত সেবা পান তা নিশ্চিত করাকে কর্তব্য মনে করে। বাংলাদেশের বিমান-বন্দরগুলোয় দেখা যায় ঠিক এর বিপরীত চিত্র। যাত্রী হয়রানি বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্টদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। শুধু অভ্যাস নয়, বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের জিনিসপত্র লুটপাটও ঘটে অহরহ। বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি নিয়ে আমাদের এ কলামে বহুবার আলোকপাত করা হয়েছে। কিন্তু তা বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্টদের বোধোদয়ে কোনো অবদান রাখতে পারেনি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা সে দুর্ভোগের অবসান ঘটালে তা হবে এক বড় অর্জন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর