শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

অবিস্মরণীয় জয়

সর্বাবস্থায় টাইগারদের পাশে থাকুন

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে বাংলাদেশের জয় আহামরি ঘটনা নয়। তার পরও বুধবার চট্টগ্রামে টাইগারদের ৪ উইকেটের ব্যবধানে অর্জিত জয়কে অবিশ্বাস্য বলেই অভিহিত করা হচ্ছে। অবিস্মরণীয় এ জয় হাজারো জয়ের চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ হয়ে উঠেছে নানা সমীকরণে। কারণ মাত্র ৪৫ রানে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর চরম আশাবাদীরাও নিশ্চিত ছিলেন হারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কেউ কেউ তো ৬০ রানেই টাইগাররা সাজঘরে ফিরে যাবেন এমনটিই আশঙ্কা করছিলেন। কিন্তু সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে লড়াকু ক্রিকেট খেলে টাইগাররা জিতেছেন। এর আগে ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও জোড়া সেঞ্চুরি করে সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ এনে দিয়েছিলেন ক্যারিশমাটিক জয়। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বুধবারের জয় যেন সে সাফল্যকে ছাপিয়ে গেছে। ৫০ ওভারের ম্যাচে মাত্র ১১.২ ওভারে তামিম ইকবাল ৮, লিটন দাস ১, সাকিব আল হাসান ১০, মুশফিকুর রহিম ৩, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৮ ও ইয়াসির আলীকে শূন্য রানে ফেরত পাঠানোর পর বাংলাদেশ ম্যাচ জিতবে তা ছিল কল্পনারও বাইরে। আফগানদের দেওয়া ২১৬ রানের ছোট্ট টার্গেটকেও তখন মনে হচ্ছিল রানের এভারেস্ট! কিন্তু শেষ পর্যন্ত এভারেস্টই জয় করলেন আফিফ  ও মিরাজ। ১১৫ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেললেন আফিফ আর মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৮১ রান। সপ্তম উইকেট জুটিতে তাদের সংগ্রহ অপরাজিত ১৭৪ রান। বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড। ক্রিকেটকে বলা হয় অনিশ্চয়তার খেলা। এ খেলায় কারা জিতবে কারা হারবে তা বলার অবকাশ নেই। আফিফ ও মিরাজ ভরাডুবির ম্যাচে জয় এনে দিয়ে সে সত্যকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করলেন। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেন প্রথম ম্যাচেই। অবিস্মরণীয় এ জয় টাইগারদের অনুপ্রেরণা জোগাবে আমরা এমনটি দেখতে চাই। তাদের পাশে সমর্থকদের সর্বাবস্থায় অটল থাকতে উদ্বুদ্ধ করবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর