বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে হুহু করে। এর সঙ্গে পাল্লা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে গম, তেল, চিনি, ডালের দাম বেড়ে যাওয়া। করোনার অপপ্রভাবের পর ইউক্রেন যুদ্ধ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে। তবে দেশে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় সেগুলোর মূল্যবৃদ্ধিও সমান অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। দেশে ডিমের হালি এখন ১১০ টাকা। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৩ টাকায় এক ডজন ডিম পাওয়া যায়। মালয়েশিয়ায় মেলে ৮৫ টাকায়। ভর মৌসুমে পিঁয়াজের কেজি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। অতীতে কখনো এ সময়ে পিঁয়াজের কেজি ২০ টাকার ওপরে ওঠেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে সংকটের স্থায়ী সমাধান চাইলে আমদানিনির্ভর খাদ্যপণ্য দেশে উৎপাদনে জোর দিতে হবে। পিঁয়াজ, আদা, রসুন ও তেলের উৎপাদন দেশেই বাড়ানো সম্ভব। এজন্য পরিকল্পিত কৃষি সম্প্রসারণে জোর দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের বিষয়েও সরকারকে সজাগ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করলেও পণ্যমূল্যে নিষ্পেষিত মানুষের কাছে দেশের উন্নয়ন অর্থহীন। পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ফলপ্রসূ উদ্যোগে ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে দাম কমার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিশ্ববাজারে দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের অবস্থায় ফেরার সম্ভাবনা নেই। ফলে এখন ভোক্তাদের চরম দুঃসময় চলছে। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সজাগ হতে হবে। পণ্য পরিবহনে যে চাঁদাবাজি হয় তা রোধের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। আমদানিনির্ভর নিত্যপণ্য দেশে ব্যাপক হারে উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি এগুলোর আমদানি শুল্ক শূন্য পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সাধারণ মানুষকে মূল্যবৃদ্ধির দুঃসময় থেকে বাঁচানোর সেটিই প্রকৃষ্ট উপায়।

সর্বশেষ খবর