শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশুদ্ধ পানির সংকট

ভূগর্ভস্থ স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে

পানির দেশ বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানির সংকট ঘোরতর হয়ে উঠছে। ফসলের খেতে পানি সেচসহ নানা প্রয়োজনে ভূগর্ভস্থ পানির ঢালাও ব্যবহারে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের বহু এলাকায় কয়েক মাইল দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। পানির অভাবে এলাকা ত্যাগ বা রাজধানীমুখী হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দেশের উপকূলভাগের প্রতিটি এলাকায় লবণাক্ততার কারণে পানযোগ্য পানির অভাব প্রকট। এলাকার পুকুর ও দিঘিগুলো পানযোগ্য পানির উৎস। বিশুদ্ধ পানির সংকট শুধু বরেন্দ্র অঞ্চলে নয়; উপকূল, পাহাড় ছাপিয়ে সে আঁচ লেগেছে রাজধানীতেও। দূষিত পানি পান করে রোগাক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। রাজধানীর হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর ভিড়। রাজধানীর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর ১০ ফুট করে নিচে নেমে যাচ্ছে। রাজধানীতে প্রতিদিন পানির চাহিদা থাকে ২৪৫ থেকে ২৫০ কোটি লিটার। ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহের সক্ষমতা ২৭৫ কোটি লিটার। পাঁচটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পানি পরিশোধন ও গভীর নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে রাজধানীবাসীর চাহিদা পূরণ করে ওয়াসা। এ পানির ৬৬ শতাংশই ভূগর্ভস্থ এবং ৩৪ শতাংশ নদীর পানি পরিশোধন করে ব্যবহার-উপযোগী করা হয়। শুষ্ক মৌসুম আসতেই রাজধানীর কিছু জায়গায় পানির সংকট শুরু হয়। ওয়াসার পাম্প নষ্ট হলে সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। ওয়াসার গাড়িতে পানি সরবরাহ করা হলেও তা অপ্রতুল। রাজধানীতে ওয়াসা যে পানি সরবরাহ করে পাইপলাইনের ত্রুটির কারণে তা ‘অবিশুদ্ধ’ অবস্থায় ভোক্তাদের কাছে পৌঁছায়। ওয়াসা আর দুর্নীতি-অনিয়ম সমার্থক হয়ে ওঠায় বিশুদ্ধ পানি পানের অধিকার হারাচ্ছে নগরবাসী। ওয়াসার পানি না ফুটিয়ে পান করে ডায়রিয়া, কলেরাসহ নানা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে নগরবাসী। বিশুদ্ধ পানি পান মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার পূরণে সরকার যত্নবান হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর