দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে নিরক্ষরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ দেশে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেশি। তা ছাড়া এসডিজির যে লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালে আমরা নির্ধারণ করেছি, সেখানেও আমরা অনেক পিছিয়ে। এসডিজিতে বলা আছে, মাধ্যমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করতে হবে, প্রারম্ভিক শিক্ষাকে আরও প্রসারিত করতে হবে। তার পরিকল্পনা নেই। দেশের বেশির ভাগ মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষার বিষয়ে কুয়ার ব্যাঙের মতো বাস করে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা দরকার। এজন্য আমাদের কুয়ার ব্যাঙ হয়ে থাকলে হবে না। বহির্বিশ্বে কোথায় কী হচ্ছে তা নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে, জানতে হবে।’ বুধবার সিপিডি আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষার রাজনৈতিক অর্থনীতি : দারিদ্র্য, অসাম্য ও বর্জনের বিরুদ্ধে লড়াই’ শীর্ষক একটি বইয়ের প্রাসঙ্গিক ভার্চুয়াল আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের কুয়ার ভিতর থেকে বের হতে হবে। দেখতে হবে গোটা বিশ্বে কোথায় কী হচ্ছে। অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তাহলে আমরা বুঝতে পারব আমাদের শিক্ষার বড় ঘাটতি কোথায়। উন্নয়নের বড় ঘাটতি কোথায়। ২০১০ সালের শিক্ষানীতি আমরা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমাদের কর্মমুখী শিক্ষা, ব্যবহারিক শিক্ষাও তেমন কোনো কাজে আসছে না। সবশেষ ২০১৮ সালে দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে কিন্তু তারও কোনো অগ্রগতি নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তেমন কোনো গবেষণা নেই। আমাদের সেদিকেও নজর দিতে হবে। শিক্ষা, সামাজিকসহ নানা ক্ষেত্রে দেশে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান করতে হবে। শিক্ষকতা পেশায় মেধাবী ও নিবেদিত তরুণদের আকৃষ্ট ও ধরে রাখার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সংস্কার ও শিক্ষাশাসন বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।