মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রেমিট্যান্স আয়ে রেকর্ড

কৃতঘ্নদের সুমতি হোক

রেমিট্যান্স আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা হিসেবে বিবেচিত। প্রবাসী কর্মজীবীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে বিপুল অর্থ দেশে পাঠায় তা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় খাত। রেমিট্যান্স আয়ের রমরমা অবস্থানের কারণেই গত তিন দশকে বিশ্ব অর্থনীতি বারবার মন্দার কবলে পড়লেও তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অপপ্রভাব রাখতে পারেনি। করোনাকালেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে পেরেছে রেমিট্যান্স আয়ের বদৌলতে। নানা কারণে কয়েক মাস ধরে কিছুটা কমলেও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি মাসের মাত্র ২১ দিনে ১২ হাজার কোটি

টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা আগের বছরের ঈদের তুলনায় অনেক বেশি। আশা করা হচ্ছে ঈদ পর্যন্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১১ কোটি ডলার, বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। গত মার্চে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৬ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। করোনাকালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কিছুটা কমে গেলেও ফেব্রুয়ারির পর আবারও তা বেড়েছে। দেশে যে কোনো উৎসব কেন্দ্র করে সাধারণত রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি এপ্রিলে রেমিট্যান্স ২০০ কোটি ডলার অর্থাৎ ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। চারদিকের মন্দার বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স আয় বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে অবদান রাখবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, যারা নিজেদের ঘাম ঝরিয়ে দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠায় তাদের টাকায় পরিচালিত সরকারি কর্মচারী নামের লাট বাহাদুরদের আচরণ শোভনীয় নয়। বিমানবন্দরে এসব লোকজনের সঙ্গে জনগণের চাকরপ্রবররা যে অশোভন আচরণ করে তা লজ্জাজনক। একৃতঘ্নদের সুমতি ফিরুক আমরা এমনটি আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর