বুধবার, ১১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

রপ্তানিতে সুখবর

এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে

একদিকে করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দুনিয়ার প্রায় সব দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়েছে। বাংলাদেশকেও মোকাবিলা করতে হচ্ছে কঠিন সময়। এ প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে শক্তি জোগাবে দেশের প্রধান শিল্পপণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ঘটনা। মহামারির ধাক্কা সামলে বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের বিক্রি বাড়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ। রবিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবির প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলার আয় করেছে। রপ্তানির এই পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় ছিল ৩ হাজার ২০৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। আর পুরো অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার পেয়েছিল। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার। আর পুরো অর্থবছরে রপ্তানিতে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য রয়েছে। আশার কথা, ১০ মাসেই পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে রপ্তানি আয়। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় খাত রেমিট্যান্স আয়ও চলতি অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এপ্রিলে রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে প্রবাসীদের কাছ থেকে। দুই বছর করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বড় আকারে হোঁচট খেয়েছে সন্দেহ নেই। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিণতিতে দুনিয়াজুড়ে জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গম ইত্যাদি পণ্যের দাম বেড়েছে। হাওরে ধান উৎপাদন মার খাওয়ায় খাদ্য আমদানিতে এ বছর ব্যয় হতে পারে বিপুল অর্থ। এ প্রেক্ষাপটে রপ্তানি আয়ের টার্গেট দুই মাস আগেই পূরণ হওয়া নিঃসন্দেহে সুখবর। সাফল্যের এ ধারা জিইয়ে রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর