রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

কর্মমুখী শিক্ষার দিকে নজর দিন

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যাচ্ছেতাইয়ের সুযোগ বন্ধে আইনগত ব্যূহ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। সংশোধিত আইনটি পাস হলে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও আইন অমান্যের প্রবণতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সহজতর হবে। সংশোধিত আইনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে শিক্ষাবিদ থাকতে হবে।

বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কোনো সদস্য এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না। বিভিন্ন সভা করে ট্রাস্টিজের সদস্যদের অ্যালাউন্স নেওয়ার নিয়মও বন্ধ করা হচ্ছে প্রস্তাবিত আইনে। প্রস্তাবিত খসড়ায় মালিকপক্ষ বা উদ্যোক্তাদের অযাচিত খবরদারি ঠেকাতে নানা ধারা সংযোজন করা হচ্ছে। নতুন ধারা সংযোজন করে বিধান লঙ্ঘনের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে হাইওয়ে বা বাইপাস সড়কের পাশে নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত আইন সংশোধনের আহ্বায়ক কমিটি ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২২’-এর প্রস্তাবের খসড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে মতামত জানতে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের কাছে প্রস্তাবটি পাঠিয়েছে। দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল উচ্চশিক্ষার বিকাশ ঘটাতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তারা শিক্ষা বিস্তারের বদলে একে অতিলাভজনক ব্যবসা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর ফলে দেশে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। দেশ ও জাতির জন্য ইতোমধ্যে এই শিক্ষিত বেকাররা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। দেশে কর্মমুখী শিক্ষার অভাব থাকলেও তা পূরণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সংশোধিত আইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কর্মমুখী করার বাধ্যবাধকতা থাকলে তা একটি যথার্থ উদ্যোগ বলে বিবেচিত হতো।

সর্বশেষ খবর