সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সড়ক দুর্ঘটনা

যানবাহন চালকদের সুমতি হোক

শনিবার দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত অর্ধশতাধিক। এর মধ্যে টাঙ্গাইলে একই পরিবারের তিনজনসহ আটজন নিহত হয়েছেন। ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন একই পরিবারের তিনজন। বগুড়ায় পিতা-পুত্রসহ চারজন নিহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিহত হয়েছেন চারজন। এ ছাড়া হবিগঞ্জে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজন, গাজীপুরে দুজন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একজন, দিনাজপুরের খানসামায় একজন এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে ঘরে ঘরে উঠেছে কান্নার রোল। তবে তা যানবাহন চালকদের সুমতি ফেরাবে কিনা- একটি বড়মাপের প্রশ্ন। সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ বারবার ফুঁসে উঠলেও তা বাস-ট্রাক-পিকআপ চালকদের যথেচ্ছতা থামাতে কোনো অবদানই রাখতে পারেনি। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১ সালে সারা দেশে সড়কপথে ৩ হাজার ৭৯৩টি দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ২৮৯ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে। মহামারির কারণে গত বছর অফিস-আদালত, দোকানপাট দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এবং লকডাউনে গণপরিবহন চলাচলেও বিধিনিষেধ ছিল। তারপরও আগের বছরের চেয়ে দুর্ঘটনা বেশি হয়েছে। সড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্সের সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। এর পাশাপাশি লাইন্সেস ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ওভারটেকিং, সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, একই রাস্তায় দ্রুত ও শ্লথ যানবাহন চলাচল, রাস্তার পাশে হাটবাজার ও দোকানপাট থাকার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। প্রতি বছর ঈদের আগে ও পরে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। খুশির বদলে শোকের ছায়া বিস্তার করে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।  অনেক দীর্ঘশ্বাস থেকেই যায় মানুষের অগোচরে। যানবাহন চালকসহ সড়ক সংশ্লিষ্টদের সুমতি এ ট্র্যাজেডির অবসান ঘটাতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর