সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সময় গেলে সাধন হয় না

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

সময় গেলে সাধন হয় না

ফাঁসিতে মৃত্যুবরণকারী জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী নেতা মতিউর রহমান নিজামী ১৯৯৩ সালে বেসরকারি বিল হিসেবে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা আইন পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। জেনারেল জিয়াউল হক ব্লাসফেমি আইন পাকিস্তানের সংবিধানে ১৯৮৪ সালে যে আদলে সংযোজন করেছিলেন, নিজামীর বিলটিও ছিল একই আদলের। কিন্তু নিজামীর বিল সেদিন জাতীয় সংসদে আলোচনার জন্য গৃহীত হয়নি এবং তাই পাসও হতে পারেনি। প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী শতাধিক সংসদ সদস্যের মারমুখী বিরোধিতার কারণে নিজামীরা সেদিন পিছু হটেছিলেন। নিজামীরা ধূর্ত শিয়াল। তারা ঘি তোলার জন্য বাঁকা আঙুল ব্যবহারে লব্ধহস্ত। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপির কাঁধে সোয়ার হয়ে জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এটাই সুযোগ, একাত্তরের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করা যাবে, আর তার বড় ভাগিদার হবে বিএনপি। হতে পারে, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বাংলাদেশকে পাকিস্তানি স্টাইলের রাষ্ট্র বানানোর কাজটি সেবার জামায়াতের হাত দিয়েই বিএনপি করিয়ে নিতে চেয়েছে। জামায়াতের জন্য অবারিত সুযোগ। নিজামীকে প্রথমে কৃষি ও পরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বানাল বিএনপি, দুটি মন্ত্রণালয়েরই নেটওয়ার্ক রয়েছে যথাক্রমে একেবারে গ্রামের কৃষক ও শিল্প জগতের শ্রমিক শ্রেণি পর্যন্ত। বিএনপির লুকায়িত উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ হওয়ার আরেক কারণ, যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ সংসদ সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও তাকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার নেটওয়ার্কও রয়েছে তৃণমূল পর্যন্ত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই সময়ে জাতীয় সংসদে বিএনপির এককভাবে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও জামায়াতকে এভাবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ায় সন্দেহটা আরও প্রবল হয়। মুজাহিদ মন্ত্রী হয়েই প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলেন একাত্তরে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। এবার বোঝেন ঠেলা। দেশের মানুষ প্রতিবাদী হলেও বিএনপি সম্পূর্ণ নীরব থাকে। সুতরাং সুযোগ পেয়ে জামায়াত বাঁকা আঙুলের ব্যবহার পরিপূর্ণভাবে শুরু করল। জামায়াতের আবদার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বহু জায়গায় কট্টর জামায়াতপন্থি আমলারা অধিষ্ঠিত হলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ওমর ফারুকের কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, যার আশীর্বাদে সিদ্দিকুর রহমান বাংলাভাই রাজশাহীতে নিজস্ব শাসন ও আদালত কায়েম করেছিল, মানুষকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে উল্টোভাবে ঝুলিয়ে রেখেছিল এবং সে কাজের জন্য সে সময়ের রাজশাহীর এসপি মাসুদ তার অফিসে বাংলাভাইকে বিরাট বহরসহ প্রকাশ্যে বীরোচিত সংবর্ধনা দিয়েছিলেন। বাঁকা আঙুলের বহুমুখী চাতুর্যপূর্ণ ব্যবহার করতে থাকে জামায়াত, রাষ্ট্রীয় শক্তির আশীর্বাদ তো রয়েছেই। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডসহ খেলাধুলা, শরীর চর্চা যাতে ধীরে ধীরে হ্রাস পায় তার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকারি প্রশাসনকে হাতের ইশারায় বলে দেওয়া হয় এসব বেদাত ইসলামবিরোধী কর্মকান্ড ধীরে ধীরে বন্ধ করতে হবে। জামায়াতের এই কৌশল কতখানি সফল সেটা বোঝা যায়  ২৫-৩০ বছরের পূর্ব সময়ের সঙ্গে আজকের বর্তমান সময়কে তুলনা করলে। ধর্মীয় উগ্রবাদীদের দ্বিতীয় কৌশল ওয়াজের অনুষ্ঠান। অত্যন্ত সমন্বিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির দ্বারা একই পন্থায় ও যুক্তির দ্বারা নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও দর্শনকে ইসলামবিরোধী হিসেবে তুলে ধরা। এ কাজটি তারা বাধাহীনভাবে খুব সফলভাবে করে চলেছে। শুধু মাঠে নয় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট, বই, চটিবই সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পক্ষের হয়ে যারা ওয়াজ করছেন, বই লিখছেন, তাদের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে নামের আগে-পিছে আরবি ভাষায় এমন সব পদবি আর টাইটেল জুড়ে দেওয়া হয়, যা শুনলে দেখলে সরলপ্রাণ মুসলমান নারী-পুরুষের মনে হবে এনার চেয়ে বড় বুজুরগি এবং আউলিয়া দরবেশ দ্বিতীয়টি নেই; এনারা কখনো অসত্য কথা বলতে পারেন না। মানুষের এই সরল বিশ্বাসটিকে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। তাদের কর্মসূচিতে ধর্মীয় বিদ্বেষ, অন্য ধর্মকে ছোট ও হেয় করা এবং অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি ঘৃণার উদ্রেগ হয় এমন সব কথা বলা। ঘরে ঘরে গিয়ে ইসলাম শিক্ষা দেওয়ার নামে রাজনৈতিক মগজ ধোলাইয়ের জন্য তাদের রয়েছে সুসংগঠিত নারীকর্মী বাহিনী এবং দেশব্যাপী মসজিদভিত্তিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। প্রথমত, তারা সম্মিলিত চেষ্টায় এটা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে যে, মানুষের কল্যাণ-অকল্যাণ, শান্তি-অশান্তি, চলাফেরা, পোশাক-পরিচ্ছদ, কর্মকান্ডসহ মানবতা, রাষ্ট্র, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে ধর্মীয় ব্যাখ্যা দেওয়ার একচ্ছত্র মালিকানা কেবল তাদেরই, যারা একটা নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করেন এবং শুধুমাত্র ধর্মীয় বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পড়াশোনা করেছেন, ডিগ্রি নিয়েছেন, যাদের বাহ্যিক নাম দেওয়া হয়েছে আলেম-উলেমা। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর যুক্তি নয়, তাদের কথাই চূড়ান্ত, সেটি বিশ্বাস করতে ও মানতে হবে। এর বিপরীতে কোনো কথা বললেই বলা হবে আলেম-উলেমাদের অসম্মান ও অবমাননা করা হয়েছে। এটা তাদের জন্য বিশাল বড় অর্জন। সাধারণ বৃহত্তর লক্ষ-কোটি মানুষ সংগত কারণেই জীবনযাপনে বহুমুখী সমস্যা ও সংকটে থাকেন। সমস্যার সহজ সমাধান যখন হয় না তখন  সরলপ্রাণ মানুষ দলমত নির্বিশেষে ওই আলেম-উলেমাদের কাছে যান। তখন অনেকে ধর্মীয় অন্ধ বিশ্বাসের জন্য বহুরকম ছদ্মবেশী কথার সংবেদনশীলতার বশবর্তী হয়ে আলেম-উলেমাদের অনুগত অনুসারী হয়ে যান। তারপর ভোট না দিলেও ওই আলেম-উলেমাদের বিরুদ্ধাচরণের মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেন। এটাও তাদের আরেকটি বড় অর্জন। জামায়াত-হেফাজতসহ বাংলাদেশে যত ধর্মীয় দল আছে তাদের শেকড় এক এবং চূড়ান্ত লক্ষ্যও অভিন্ন; বাংলাদেশকে পাকিস্তানি স্টাইলের সাতচল্লিশের চেতনায় সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বানানো। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালির ২৩ বছরের সংগ্রাম, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং তার সঙ্গে কয়েক হাজার বছরের পথচলায় সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির শক্তিকে পরাজিত করার কাজটি তাদের পক্ষে সুষ্ঠু রাজনীতির মাধ্যমে সম্ভব নয়। সুতরাং মরক্কো, আলজেরিয়া, মিসর ও তুরস্কে ব্রাদারহুড ও তার সহযোগী দলগুলো একই রকম দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় সফল হওয়ায় বাংলাদেশেও তারা একই পন্থায় এগোনোর চেষ্টা করছে এবং ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশে আরেকটি নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে ১৯৮৯-৯০ সালে তৈরি হয় আহলে হাদিস নামের একটি চরম ওয়াহাবিবাদী কট্টর সংগঠন, যার উদ্যোক্তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আসাদউল্লাহ গালিব। দেশি-বিদেশি বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের সহায়তায় আহলে হাদিসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তওহিদ ট্রাস্ট নামে বড় আকারের একটা ফান্ড তৈরি হয়। এই সময়ে শায়ক আবদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান বাংলাভাই ও আতাউর রহমান সানি আহলে হাদিসে যোগদান করে। ১৯৯২ সালে প্রায় তিন হাজার আফগান ফেরত যোদ্ধা নিয়ে মুফতি হান্নান গঠন করে জাগো মুজাহিদ নামের সংগঠন এবং তারাও সবাই আহলে হাদিসে যোগ দেয়। শোনা যায়, তওহিদ ট্রাস্ট ফান্ডের বিশাল অর্থভান্ডারের ব্যবহার ভাগবাটোয়ারা ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে মুফতি হান্নান আহলে হাদিস ছেড়ে গঠন করে সশস্ত্র সংগঠন হরকাতুল জিহাদ। শায়ক আবদুর রহমান, বাংলাভাই এবং সানিও আহলে হাদিস থেকে বের হয়ে ১৯৯৮ সালে গঠন করে সশস্ত্র সংগঠন জেএমজেবি এবং পরে জেএমবি। ছাত্রশিবির থেকে রেডিমেড রিক্রুট পাওয়া জেএমবি অচিরেই হয়ে ওঠে বড় সশস্ত্র জিহাদি সংগঠন। পরে আরও দল-উপদল গঠিত হয়, যার মধ্যে সামনে আসে জসিমউদ্দিন রাহমানীর আনসারউল্লাহ বাংলা টিম। সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনসহ সব ধর্মীয় দলগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে একই লক্ষ্যে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে, যে কথা লেখার শুরুতে উল্লেখ করেছি। তবে ভোট প্রাপ্তিতে তারা এখনো সফলতা পায়নি। যদিও রাজনীতিতে ভোটপূর্ব ধাপগুলোতে তাদের অগ্রগতি অনেক। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দীর্ঘ সংগ্রাম, ইতিহাস ও ঐতিহ্যে মহিমান্বিত দল এবং সর্বত্র বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ থাকায় আওয়ামী লীগের একটা নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে, যা সহজে ভাঙার নয়। আর ঠিক বিপরীত কারণে একাত্তরে যে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিল তারাসহ আরও একটা অংশ নেচারাল আওয়ামীবিরোধী হওয়ায় বিএনপিরও একটা ভোটব্যাংক আছে, তারও সহজে সরবার নয়। তাই ধর্মীয় দলগুলো ভোটের মেরুকরণে এখনো সুবিধা করতে না পারলেও লেখার মাঝে বর্ণিত কৌশলে আওয়ামী লীগের ভিতরে বড় একটা সংখ্যক ভোটারের মধ্যে ধর্মীয় অন্ধত্ব ও সংবেদনশীলতা এমনভাবে ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে যে, ধর্মের নামে বড় বড় অধর্ম, অঘটন ও সংঘর্ষ ঘটলে বাধা না দিয়ে বরং উগ্রবাদীদের সঙ্গে যোগ দেয়, আর নয়তো চুপচাপ ঘরে বসে থাকে। এটা ধর্মীয় দলগুলোর তৃতীয় বড় অর্জন। আর যা কিছু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাবে, সরকারের দুর্নাম হবে তাতে শতভাগ অংশ নিবে বিএনপি। সুতরাং লেখার শুরুতে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের কৌশল এবং তার মাধ্যমে তাদের যে অর্জন তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে বারবার। সে কারণেই পরিপূর্ণভাবে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া যাচ্ছে না এবং সে কারণেই প্রতিটি ঘটনার সময় স্থানীয় প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকে এবং সে কারণেই সরকারের শতভাগ সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ফলে ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামু, ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পরে সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় এবং সম্প্রতি ঈদের আগে নতুন সংস্করণে দেখলাম জাতীয় লজ্জাজনক ঘটনা। সম্পূর্ণ নির্দোষ একজন অধ্যক্ষকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ধর্মীয় অবমাননার অপবাদ দিয়ে সবার সামনে গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘুরানো হলো। কেউ প্রতিবাদ করলেন না। জেলার ডিসি, এসপি সেনাসামন্তসহ ঠায় নীরব হয়ে থাকলেন। কিন্তু কেন। এই জাতীয় ভাইটাল প্রশ্নের উত্তরই এত সময় ধরে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতার নেপথ্য ইশারায় সব হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। তাতে প্রমাণ হয় আমার ওপরের বিশ্লেষণ সঠিক। ছদ্মবেশী কৌশলে তারা অনেক দূর এগিয়েছে। অসাম্প্রদায়িক আদর্শের সবচেয়ে বড় ও একমাত্র রাজনৈতিক অবলম্বন আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বড় একাংশ ইতোমধ্যেই উল্লিখিত আলেম-উলেমাদের মন্ত্রণায় হিপনটাইজ বা মহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। ফলে চরম সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ডের সময় হয় নীরব থাকছেন, আর নয়তো তাদের সঙ্গী হচ্ছেন, মানুষকে বোঝাতে চাইছেন ধর্ম রক্ষায় আমরাও অতন্দ্র প্রহরী, একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে, কে আগে যাবে আর কী, সম্প্রতি নড়াইলে সেটাই দেখা গেছে। এটা এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে, বিশাল জাতীয় গণজাগরণ ব্যতীত এর থেকে মুক্তি পাওয়ার দ্বিতীয় বিকল্প নেই। কোনো একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাউকে না কাউকে এগিয়ে এসে উদ্যোগটি নিতে হবে। ডাক দিন, সবাই আসবে। ইতোমধ্যে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে, সতর্ক হোন। চিরন্তন সত্য কথা-সময় গেলে সাধন হয় না।

 

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর