সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

মানব পাচার

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

মানব পাচারের মৃগয়া ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এই পরিচিতি কিছু বিবেকহীন অসৎ মানুষের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করলেও দেশের সুনামের জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। মানব পাচার এক জঘন্য অপরাধ। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের অপরাধীরা মাত্র কিছুদিন আগেও অবাধে তাদের তৎপরতা চালাত। মানব পাচারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় হওয়ার পর তারা কৌশল পাল্টিয়ে অনলাইনকে তাদের শিকার ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করছে। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশনের ‘কাউন্টার ট্রাফিকিং ইন পার্সনস টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ’ আয়োজিত এক জাতীয় পরামর্শ সভায়  মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরামর্শ সভায় বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক অংশীদার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানুষ পাচার একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এ বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। এই ভয়াবহ অপরাধের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। স্মর্তব্য, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিকিং ইন পারসনস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে অনেক ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বিদেশ যান। যাদের মধ্যে অনেকেই পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তু হন। কোনো কোনো অভিবাসী ঋণ, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন শোষণ, জোরপূর্বক বিয়ে এবং আধুনিক দাসত্বের শিকার হন। বর্তমানে পাচারকারীরা পরিচয় গোপন রেখে অল্প খরচে যোগাযোগ করতে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে। মানব পাচারের কারণে প্রতি বছর শতাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারাচ্ছে। পাচারকারীরা বিদেশের রঙিন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করছে তাদের শিকারদের। বিপুল পরিমাণ অর্থ বাগিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পথে তাদের ইউরোপ এবং অন্যান্য টার্গেট দেশে পাঠিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক সময় হতভাগ্যদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়। এ অপরাধ দমনে সরকারকে কঠোর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর