মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্বাচনী সংলাপ

আস্থা অর্জনের চেষ্টা ইতিবাচক

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপ রবিবার শেষ হয়েছে। সংলাপে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি। সিপিবি, বাসদসহ বাম ঘরানার বেশকটি দল একই পথ বেছে নিয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় ৪০০ সুপারিশ জমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। বাসদ সংলাপে অংশ না নিলেও লিখিতভাবে তাদের সুপারিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সিপিপি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের মতামত জানিয়েছে। নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন চেয়েছে জাতীয় পার্টিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ করে ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করা, আগের রাতের বদলে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন, ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোরও দাবি উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংসদের ৩০০ আসনেই ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছে। তারা নির্বাচনের সময় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় সব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দাবি করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না থাকায় নির্বাচন কমিশন

এ ব্যাপারে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আভাস দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এখন দেড় লাখের বেশি ইভিএম রয়েছে; যা দিয়ে মাত্র ৩১ শতাংশ কেন্দ্রের ভোট নেওয়া সম্ভব। ইভিএমে ভোট নিতে হলে ৪ লাখ ইভিএম কিনতে হবে। যে কারণে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশন আহূত সংলাপে বেশ কিছু দল অংশ না নিলেও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনে তাদের নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। নির্বাচনকালে নির্বাচন পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সংস্থাগুলোকে নির্বাচন কমিশনের অধীন নেওয়ার প্রস্তাবও একটি ইতিবাচক অগ্রগতি; যা সব দলের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করবে কি না তা এখন দেখার বিষয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর