বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বাস ডাকাতি

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা কাম্য

টাঙ্গাইলে বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের মূল হোতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতারের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে তথ্য পেয়েছে তা ভিরমি খাওয়ার মতো। আটক বাস ডাকাতদের কয়েকজন দিনের বেলায় বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করত। রাতে ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত হতো। রবিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১২ ও ১৪-এর যৌথ অভিযানে ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব বলছে, ২১ বছরের তরুণ রতন হোসেন পেশায় বাসচালকের সহকারী। তবে রাতে পেশা বদলে হয়ে যেত বাস ডাকাতির দলনেতা! তার দলে আছে আরও ১২ জন। এর কয়েকজন রতনের মতোই বাসচালকের সহকারী। কেউবা কাজ করে কারখানায়। রাতে তারা যাত্রীবেশে এ পর্যন্ত অন্তত ১১টি বাসে হানা দিয়েছে। সর্বশেষ ২ আগস্ট টাঙ্গাইল মহাসড়কে রতনের নেতৃত্বে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার তিন দিন আগে দলের সদস্য রাজা মিয়াকে নিয়ে বাস ডাকাতির পরিকল্পনা করে রতন। পরে অন্য সদস্যরা যুক্ত হয়। তারা যাত্রী সেজে বাসে উঠে বিভিন্ন আসনে বসে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ওই বাসে এক নারীকে ধর্ষণের পাশাপাশি আরও নারীকে হেনস্তা করেছে তারা। ডাকাতির উদ্দেশ্যে ২ আগস্ট ডাকাত দলের একাংশ সিরাজগঞ্জ মোড় এলাকায় অবস্থান নেয়। কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি গাড়ি সিরাজগঞ্জ মোড় এলাকায় এলে তারা যাত্রী সেজে বাসে ওঠে। আরও দুই দফায় বাসে ওঠে ডাকাত দলের সদস্যরা। সে সময় বাসে ২৪ জন যাত্রী ছিলেন। ডাকাত দলের সদস্যরা বেশির ভাগ পেছনে ও অন্যরা বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে বসে। বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু অতিক্রমের পর তারা যাত্রীদের জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। তারপর ডাকাতদের একজন গাড়ি চালিয়ে দিক পরিবর্তন করে মধুপুরের দিকে যায়। গাড়ির এক নারী শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করলে তাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে পাষ-রা। দেশে বাস ডাকাতির ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও নারীর সম্ভ্রমহানি প্রায়ই ঘটছে। আমরা আশা করব ডাকাতি ও ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর