বঙ্গবন্ধু নেই। ইন্দিরা গান্ধীও অনেক আগেই চলে গেছেন। করোনাকাল নিয়ে গেল প্রণব মুখার্জিকে। নিয়তি নিয়ে গেল বেনজির ভুট্টোকে। এ উপমহাদেশের শান্তি-স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে দীর্ঘ সময় সরকার ও বিরোধী দলের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলিষ্ঠ অবস্থানে বিশ্বদরবারে আর কে আছেন শেখ হাসিনা ছাড়া? আমার এক ভারতীয় সাংবাদিক বন্ধুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। শেখ হাসিনার এবারকার ভারত সফর ও দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছিলাম আমরা। হুট করে কোনো কূটনৈতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় না। হলে টেকেও থাকে না। রাজনীতি ও কূটনীতির সম্পর্কের দিকগুলোর গভীরতা অনেক জটিল। খুব কম দেশই প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ধরে রাখতে পারে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের কথা আলাদা। দুই দেশের সম্পর্ক ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির মাইলফলকের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পর মুজিব-ইন্দিরার দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে যা বিকশিত হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী আমৃত্যু ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি শুধু বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেননি, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে লড়েছেন বাংলাদেশের হয়ে। যুদ্ধের ময়দানেও ছিল তাঁর সরব উপস্থিতি। ইন্দিরা বাংলাদেশের শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি তাঁদের আশ্রয় ও খাবার দিয়েছেন। যুদ্ধের সময় হেঁটে হেঁটে শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করতেন। সবার খোঁজ নিতেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেন। ব্যবস্থা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের। স্বাধীনতাযুদ্ধে দুই হাত ভরে সহায়তা দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরও তাঁর ইতিবাচক মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিটি অনুরোধও তিনি রক্ষা করেছেন অকৃত্রিম বন্ধুর মতো। কোনো অনুরোধে বিরক্ত হননি। বঙ্গবন্ধু তাঁর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই ভারতীয় সৈন্য সদ্যস্বাধীন দেশ থেকে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন। দুনিয়ায় এভাবে অনুরোধের নজির নেই। বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ ইন্দিরা সঙ্গে সঙ্গে মেনে নিয়েছিলেন। ভারতের কূটনীতিক, সাংবাদিকরা মুজিবের অনুরোধ এবং ইন্দিরার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। ইন্দিরা বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন। শুধু ৭২ নয়, জীবদ্দশায় তিনি বারবার তার প্রমাণ দিয়েছেন।
স্বাধীনতার পর অনেকে ভেবেছিলেন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক টিকবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনচেতা মানুষ। নিজের অধিকার প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন। বাংলাদেশের অধিকার ও আত্মমর্যাদার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু দুনিয়ার কোনো দেশকে ছাড় দেননি। ভারতকেও নয়। বঙ্গবন্ধুর এ দৃঢ়চেতা মনোভাব ইন্দিরা ইতিবাচক চোখে দেখতেন। সম্মান দিতেন। কোথায়ও কোনো ভুল বোঝাবুঝি ছিল না। বঙ্গবন্ধু ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের পর অনেকে ভেবেছিলেন মুজিব-ইন্দিরার সম্পর্কে এবার অবনতি হবে। তখনকার বিরোধী পক্ষ এ নিয়ে নানামুখী প্রচারণায়ও ছিল। বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তান সফর, ওআইসি সম্মেলনে যোগদান, মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো, ভুট্টোর ঢাকা সফর ঘিরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ব্যাঘাত ঘটেনি। বরং সম্পর্কে আরও নতুন মাত্রা তৈরি হয় দুই দেশের মধ্যে। সৃষ্টির পর থেকে বাংলাদেশের নিজস্ব কূটনীতি ছিল আলাদা স্বকীয়তায়। ইন্দিরার মতোই ভারতেরও একজন সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ইতিহাসের পাতায় বারবার আলোচনায় আসে মুজিব-ইন্দিরার প্রথম বৈঠকের কথা। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পর বঙ্গবন্ধুকে ব্যাপক সংবর্ধনা জানানো হয়। বাংলার মহানায়ক মুজিবকে একনজর দেখতে দিল্লির রাজপথে সেদিন ছিল লাখো মানুষের ঢল। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ছিলেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবর্গ। সেদিন মুজিব-ইন্দিরার বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের পথচলা তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু শুরুতে ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আনেন। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন ভারতের প্রতি। বঙ্গবন্ধু মুজিব দিল্লির সংবর্ধনার জবাবে বলেছিলেন, ‘আপনাদের প্রধানমন্ত্রী, আপনাদের সরকার, আপনাদের সৈন্যবাহিনী, আপনাদের জনগণ যে সাহায্য-সহানুভূতি আমার দুঃখী মানুষকে দেখিয়েছে, চিরদিন বাংলার মানুষ তা ভুলতে পারবে না।’ ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুকে আবার বিশাল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট থাকবে। বিশ্বের কোনো শক্তিই এটিকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।’ বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক সেতুবন্ধের মূল ভিত্তি তখনই তৈরি।
বাংলাদেশের মানুষ আজও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ইন্দিরা গান্ধীকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জাতির পিতাকে হারানোর পরও তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কঠিন খারাপ সময়ে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার পাশে ছিলেন ইন্দিরা। তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে। চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার। এ বিষয়ে বিস্তারিত রয়েছে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার লেখা বইতে। জার্মানি থেকে দিল্লি যাওয়ার পর ইন্দিরা গান্ধীর কাছে নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের সব খবর শোনেন শেখ হাসিনা। কান্নায় ভেঙে পড়েন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ইন্দিরা নিজের আসন থেকে উঠে আসেন। তারপর শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন। বারবার বলেন, তোমাকে ভেঙে পড়লে চলবে না। তোমার ওপর এখন অনেক দায়িত্ব। ইন্দিরার সেই স্নেহ পরশ শেখ হাসিনার জন্য অনেক বড় পাওনা ছিল তখন। দরকারও ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিভিন্ন সময় ওঠানামা করে। ’৯৬ সালে আবার তা নতুন করে তৈরি হয় গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মধ্য দিয়ে। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনেন। তিনি এ সম্পর্ক তৈরি করেন বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর সমাধান সামনে এনে। শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দুজন মানুষকে স্মরণ করতে হবে। একজন ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। আরেকজন পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। এ দুজন দুই ভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। প্রণব মুখার্জির শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশের নড়াইলে। তিনি বাংলাদেশের মেয়ের জামাতা। বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে সব সময় ইতিবাচক অবস্থানে দেখেছে। তিনিও সারাটা জীবন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুর ভূমিকা পালন করেছেন। প্রণব মুখার্জির সঙ্গে অনেকবার আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি সব সময় বলতেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ সম্পর্ক সব সময় থাকবে। তিনি ঠিকই বলেছেন। অনেক সময় বন্ধু বদল করা যায়। প্রতিবেশী পরিবর্তন করা যায় না। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের বুকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রণব মুখার্জি উভয় দেশের সম্পর্ক সম্মানজনকভাবে মূল্যায়নের পক্ষে কথা বলতেন। জ্যোতি বসুও তা-ই বলতেন। শেখ হাসিনার কণ্ঠ সব সময় ইতিবাচক সম্পর্ক ধরে রাখার পক্ষে। তবে দেশপ্রেম প্রশ্নে বাবার ধাঁচটা পেয়েছেন শেখ হাসিনা। আগে বাংলাদেশের স্বার্থটা দেখেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুরোধেও তিনি বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রি করতে সম্মত হননি। এ কারণে ২০০১ সালে তাঁকে ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরও তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরেননি। এখনো দ্বিপক্ষীয় সংকট দূর করতে তিনি ভূমিকা রাখছেন বাংলাদেশের স্বার্থ বজায় রেখে।
২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে আবার ভাটা পড়ে। চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্রের বিষয়টি ভারত ভালোভাবে নেয়নি। ওয়ান-ইলেভেনের পর অনেক কিছু বেরিয়ে আসে সামনে। শেখ হাসিনা নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার মাত্রা পায়। পিতা মুজিবের পথ ধরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক মর্যাদার আসনে নিয়ে আসেন। উভয় দেশের ছিটমহলসহ সীমান্ত সমস্যার সমাধানে তিনি ভূমিকা রাখেন। এখনো বিদ্যমান সংকট সমাধানে শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত বলিষ্ঠ। বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছেন স্বাধীনতা। তাঁর মেয়ে দিয়েছেন উন্নতি ও সমৃদ্ধি। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে। এ সাফল্য শেখ হাসিনার সফল অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক দর্শন ও পলিসির কারণেই হয়েছে। স্বাধীনতার পর একজন মার্কিন কূটনীতিক বাংলাদেশকে বলেছিলেন তলাবিহীন ঝুড়ি। শেখ হাসিনা তার জবাব দিয়েছেন অর্থনীতি মজবুত করে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ পারে, বাংলাদেশ পারবে। আজ আমেরিকার মতো দেশও বাংলাদেশের উন্নতি-সমৃদ্ধির প্রশংসা করছে। গোটা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের এগিয়ে চলা এক বিস্ময়। করোনাকাল ও ইউক্রেনের যুদ্ধের বাজারেও জিডিপি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। কী করে সম্ভব হচ্ছে? আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন। তাঁর নেতৃত্বের গতিশীলতায় বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনা জানেন কঠিন বাস্তবতা মোকাবিলা করতে। যুদ্ধকালীন অর্থনীতি নিয়ে ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্বের চলমান কঠিন অর্থনৈতিক সংকটই স্পর্শ করতে পারবে না বাংলাদেশকে। থামবে না বাংলাদেশের এগিয়ে চলা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, রাজনীতির মতোই অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজস্ব দার্শনিক নীতি, বিচক্ষণতা, দূরদর্শী নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন শেখ হাসিনা। দেশ চালাতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাহসী নেতৃত্বের প্রয়োজন। শেখ হাসিনার মধ্যে তা আছে।
শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি ধরে রাখেননি, শান্তির সুবাতাস ছড়াতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে কূটনীতিতেও সাফল্য দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনার ইতিবাচক কূটনীতি এখন প্রশংসিত। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তিনি ধরে রেখেছেন সম্মানজনক অবস্থানে। তাঁর ক্ষমতার তিন মেয়াদে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্থিতিশীলতায় রয়েছে। শেখ হাসিনার এবারকার দিল্লি সফরের মধ্য দিয়ে তা নতুন মাত্রা পাবে। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের সম্পর্ক ধরে রাখতে চান। তিনি তাঁর ক্ষমতার মেয়াদে কয়েকবার বাংলাদেশ সফর করেছেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এর আগে ভারত সফরকালে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। মনমোহন সিং ও নরেন্দ্র মোদির সময় অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকগুলো দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে। দুই দেশের মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে আশা-আকাক্সক্ষা। বেড়েছে সম্পর্কের ধারাবাহিকতার আশাবাদ।
দুনিয়ায় বন্ধুত্বের সম্পর্ক কখনো একতরফা হয় না। এগিয়ে নেওয়াও যায় না। সম্পর্ক ধরে রাখার দায়িত্ব উভয় পক্ষের। এখানে কারও বড়, কারও ছোট হওয়ার কিছু নেই। যে-কোনো সম্পর্ক ধরে রাখতে ছাড় দিতে হয় উভয় পক্ষকে। দূর করতে হয় বিদ্যমান সংকটগুলো। বাড়াতে হয় পিপলস টু পিপলস কন্টাক্ট। মানুষ সমস্যার সমাধান দেখতে চায় দৃশ্যমানভাবে। শেখ হাসিনার এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলেই আশা করছি।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন