বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দখল-দূষণে চার নদ-নদী

এ অর্বাচীন আচরণ বন্ধ হোক

রাজধানীর নদ-নদী অস্তিত্ব হারাতে চলেছে কর্তৃপক্ষীয় উদাসীনতার কারণে। নদ-নদী, খাল-বিল, ঝিল-জলাশয় রক্ষার দায়িত্ব যাদের তাদের নিস্পৃহতায় বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ অর্থাৎ রাজধানীর চার নদ-নদী দূষণ-দখলে বিপন্নপ্রায়। বুড়িগঙ্গার পানি তো স্বাভাবিকতা হারিয়ে আলকাতরার চেহারা ধারণ করতে চলেছে। পানির দুর্গন্ধে নদীপাড়ে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়। দখল-দূষণে নদীর এক উল্লেখযোগ্য অংশই দখলবাজদের থাবার নিচে। রাজধানীর নদ-নদীগুলো দেড় কোটির বেশি নাগরিকের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। ঘিঞ্জি এ জনপদের মধ্যে নদ-নদীগুলোই মুক্ত হাওয়ার বড় আধার যা রাজধানীর ফুসফুসের মতো ভূমিকা পালন করছে বললেও অত্যুক্তি হবে না। রাজধানীর নদ-নদী, খাল-বিল, ঝিল-জলাশয় রক্ষায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সচেতন হয়ে উঠেছে দুই সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়। নদ-নদী-জলাশয় রক্ষায় নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা এবং উচ্চ আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও সব পক্ষের সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে রাজধানীর চার নদ-নদীর দখল-দূষণ থামছে না। নদ-নদী-জলাশয় রাহুমুক্তির সরকারি উদ্যোগ নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে দখলবাজদের কারণে। এ অকাম্য অবস্থার পেছনে নদ-নদী সুরক্ষায় আদালত ও সরকারের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্বে যারা তাদের গাফিলতির বিষয়টি স্পষ্ট। অভিযোগ রয়েছে, তারা দখলকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন। দখল-দূষণ রোধে নদ-নদীর তীরে হাঁটাপথ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন ধীরগতিতে চলছে রহস্য কারণে। নদ-নদী রক্ষায় গৃহীত পরিকল্পনাগুলোর সফল বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে। নদীতীরে ইট-পাথর ও বালু ব্যবসা বন্ধেও নিতে হবে উদ্যোগ। রাজধানীর চার নদ-নদী রক্ষায় জনসচেতনতা গড়ে তোলার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। এর অন্যথা হওয়া উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর