বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদের হুমকি

অপপ্রচারের সুযোগ বন্ধ হোক

জঙ্গিবাদীরা আবারও থাবা বিস্তারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কর্মীরা নতুনভাবে সংগঠিত হওয়ার আলামত পেয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাব। ইতোমধ্যে জঙ্গিরা গড়ে তুলেছে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’ নামের সংগঠন। মনে করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক বছর আগে ভয়ংকর চেহারায় আবির্ভূত ইসলামী স্টেট বা আইএস ধরনের সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে পরজীবী একটি শ্রেণি। বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করার অসদুদ্দেশ্যে কোনো বিদেশি অপশক্তির মদদে দেশ ও জাতি বিরোধী বিদ্রোহীরা পরিচালিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে এমন ধারণাও করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বল্পশিক্ষিত সরল বিশ্বাসী ধর্মভীরু তরুণদের তারা ভেড়াচ্ছে নিজেদের সংগঠনে। দেশের দুর্গম পার্বত্য ও চর এলাকায় তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি হিসাবে অতি সম্প্রতি বিভিন্ন স্থান থেকে ৬৭ জন তরুণ নিরুদ্দেশ হয়েছে তাদের পরিবার থেকে। এর মধ্যে ১৯ জেলার ৩৮ জনের জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত হওয়ার বিষয়ে র‌্যাব নিশ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের বিষাক্ত থাবা রোধে এযাবৎ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। তবে জঙ্গিবাদকে উৎসাহদানের সুযোগ জিইয়ে রেখে এ নোংরা দৈত্যের নখর ভাঙা যে পুরোপুরিভাবে সম্ভব নয় তা প্রমাণিত হয়েছে জঙ্গিবাদীদের নতুন সংগঠন গড়ে তোলা এবং দেশ ও জাতি বিরোধী তৎপরতায়। ধর্মের নামে আত্মবিক্রেতারা সহজ-সরল তরুণদের বিভ্রান্ত করলেও ইসলামে অসহিষ্ণু কোনো মতবাদের স্থান নেই। বাংলাদেশের মানুষও ঐতিহ্যগতভাবে অসহিষ্ণুতার বিপক্ষে। জঙ্গিবাদী তৎপরতা সফলভাবে রোধ করতে হলে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অসহিষ্ণু মতবাদ প্রচারের সুযোগ বন্ধ করতে হবে। শান্তির ধর্ম ইসলামের সঙ্গে জঙ্গিবাদের যে দূরতম সম্পর্ক নেই এ সত্য ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। জঙ্গিবাদী প্রচারণা ও কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ওয়াজের আড়ালে যারা ইসলামের মর্যাদা ক্ষুণ্নকারী অপব্যাখ্যা দিয়ে চলেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধেও নিতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর