মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

নকল ওষুধের রমরমা

প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা কাম্য

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ওষুধশিল্পে এগিয়ে। বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৪৫ দেশে। সম্প্রতি ইউরোপের অগ্রসর দেশ এস্তোনিয়া বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে। মুদ্রার এ আলোকিত পিঠের পাশেই রয়েছে ঘন অন্ধকার। বাংলাদেশে যেমন মানসম্মত ওষুধ তৈরি হয়

এবং কম দামে মানসম্মত ওষুধ কিনতে ইউরোপ, আমেরিকা থেকেও ব্যক্তিপর্যায়ে লোকজন এ দেশে আসে; তেমন নকল-ভেজাল ওষুধ তৈরিতেও সম্ভবত বাংলাদেশ এগিয়ে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ২০১৬ সালে এক আয়ুর্বেদিক ওষুধ কারখানার অনুমোদন দিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। কিন্তু আয়ুর্বেদিক ওষুধের আড়ালে এ কারখানায় দিনের

পর দিন তৈরি হতে থাকে গ্যাস্ট্রিকসহ বিভিন্ন রোগের নকল ওষুধ। অভিযান চালিয়ে ভেজাল সিন্ডিকেটের দুজনকে গ্রেফতার করে কারখানা সিলগালা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। ইউনানি ওষুধ উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স রয়েছে ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের। নীতিমালা অনুসরণ করে ওষুধ উৎপাদনের কথা থাকলেও তা না করে বৈধ কারখানায় নকল ওষুধ উৎপাদন করছে ওইসব প্রতিষ্ঠান। এমন অন্তত ১২টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা মাঠে নামলে বেরিয়ে আসে এসব চিত্র। এসব কারখানায় কিডনি, ক্যান্সার থেকে শুরু করে সব ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধির নকল ওষুধ তৈরি হচ্ছে। আয়ুর্বেদিক কারখানার অনুমোদন থাকায় সন্দেহ করে না প্রশাসন কিংবা সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশে নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন করেও ছাড় পাওয়া যায় সহজে। ওষুধ ব্যবহার করে মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য। যারা ওষুধ নকল-ভেজালে জড়িত তারা মানুষ হত্যার মতো অপরাধে অপরাধী। অথচ এ ধরনের অপরাধীও সহজে জামিন পেয়ে আবারও জড়িত হয় একই অপরাধে। এ ধরনের অপরাধ দমনে প্রশাসনকে দিতে হবে সদিচ্ছার পরিচয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর