সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

অশান্ত সীমান্ত

মিয়ানমারে ফিরে যাক রোহিঙ্গারা

মিয়ানমার সীমান্ত দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেশী এই দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী প্রত্যক্ষভাবে শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের মুখে পড়েছে। সে যুদ্ধের উত্তাপ বাংলাদেশ সীমান্তেও প্রায়শ অনুভূত হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও প্রতিবেশী দেশের সরকারি ও বিদ্রোহী বাহিনীর পরস্পরকে লক্ষ্য করে ছোড়া গোলাগুলি এসে পড়ছে। এমনকি হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। কয়েকদিন কিছুটা বিরতির পর সীমান্তে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর গোলাগুলি আবারও শুরু হওয়ায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের লেমুছড়ি বাহিরমাঠ এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। এতে অনেকটা স্বস্তিতে ছিলেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাংলাদেশিরা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয় মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি নাইক্ষ্যংছড়ির লেমুছড়ি এলাকায় পড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সদর ইউনিয়নের ভাল্লুক খাইয়া ও দোছড়ি ইউনিয়নের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে শনিবার থেকে। মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা ১২ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা বইছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির এই দেশের জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষের বাড়তি বোঝা ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি করেছে। নতুনভাবে সে দেশে সংঘাত শুরু হওয়ায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতির অবসানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় হতে হবে। বাংলাদেশের ঘাড় থেকে রোহিঙ্গা বোঝা নামাতে তারা তাদের করণীয় কর্তব্য পালনে এগিয়ে আসবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর