বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এ ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান গতকাল সকালে বাংলাদেশের উপকূলভাগের ৫০০ কিলোমিটার দূরে থাকতেই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘন বৃষ্টিপাত আর ঝোড়ো হাওয়ার তা-ব শুরু হয়। অবশ্য এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবিবারও দেশের বহু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অমাবস্যার সন্ধিক্ষণে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে দেশের উপকূলভাগে জলোচ্ছ্বাসের দাপট অনুভূত হবে। এ সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানলে আমন ধান, সবজিসহ নানা শস্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটতে পারে। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যানাগাদ দেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে সিত্রাং। এর তা-ব বেশি অনুভূত হবে উপকূলীয় ১৯ জেলায়। চলতি বছর উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টিজনিত বন্যায় ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। চলতি বছর দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়েছে। চাল-গমের পাশাপাশি বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সবজির ফলন মার খেয়েছে। ফলে সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে। ঠিক এমন সময় সিত্রাং আঘাত হানলে সংকট আরও গভীরতর হবে। তবে বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে আছে। দেশবাসীর জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে এ সংগ্রাম আরও কঠিন হয়ে উঠেছে আবহাওয়ার অশুভ পরিবর্তনে। বাংলাদেশের দিকে সিত্রাং নামের যে ভয়াল ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে তাতে ভয় না পেয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। উপকূলভাগের নিম্ন এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়াসহ ত্রাণের প্রস্তুতি নিতে হবে প্রশাসনকে।