বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

পাচারকৃত অর্থ

বিদেশ থেকে ফেরত আনার উদ্যোগ নিন

বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে অন্তত ১০টি দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে। হাই কোর্টে দাখিলকৃত বিএফআইইউর প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। অর্থ পাচারের প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্য-প্রমাণ ও অন্যান্য সহায়তা গ্রহণে এরকম চুক্তি দরকার এমন পরামর্শই দেওয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়কে। বিএফআইইউ যেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি করার পরামর্শ দিয়েছে সেই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, হংকং-চীন ও থাইল্যান্ড। স্মর্তব্য, ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সূত্র ধরে ১১ আগস্ট বিষয়টি নজরে নিয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য কেন জানতে চাওয়া হয়নি- তা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানাতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন হাই কোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় আদালতে দুদক ও বিএফআইইউর পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ হলফনামা আকারে তথ্য দাখিল করে। ওই হলফনামায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় বিএফআইইউ-প্রধানকে আদালতে তলব করা হয়। ক্ষমা চাইলে আদালত তাকে সতর্ক করেন এবং বলেন, ভারত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে ৭৮৪ জনের টাকা ফেরত এনেছে। ভারত পারলে আমরা কেন পারব না? এ ব্যাপারে বিএফআইইউ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন হাই কোর্ট। এ আদেশ অনুসারে মঙ্গলবার বিএফআইইউ প্রতিবেদন দাখিল করে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। কিছু দুর্নীতিবাজ আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকের জন্য দেশের অর্থনীতি রুগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধে দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পাচারকারী ও তাদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়টিও প্রাসঙ্গিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর