পুলিশের চোখে স্প্রে ছুড়ে রাজধানীর রায়সাহেব বাজার এলাকার সিজেএম আদালতের সামনে থেকে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনতাই করে নিয়ে গেছেন তাদের সহযোগীরা। এ ঘটনায় বিপজ্জনক আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে আনা-নেওয়ার নিরাপত্তা গাফিলতিই ফুটে উঠেছে। ঘটনার পরপরই সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দুই জঙ্গিকে ধরতে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণার পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের কমিটি। ছিনতাই হওয়া দুজন জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি। আসামি প্রহরার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর বিশেষ ধরনের স্প্রে ছিটিয়ে চার আসামির দুজনকে ছিনিয়ে নিতে পারলেও অন্য দুজনকে পুলিশ আটকাতে সক্ষম হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলো মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। জঙ্গি শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর আর লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটোশ্বর গ্রামে সোহেলের বাড়ি। দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ও ব্লগার অভিজিত হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আরাফাত রহমানকে অপহরণের চেষ্টা পুলিশ সদস্যরা ঠেকিয়ে দেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন আদালত। আসামি ছিনতাইয়ের পর রাজধানীর মোড়ে মোড়ে পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়। রাজধানীর নদ-নদী ও প্রতিটি অলিগলিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তীক্ষè নজর রাখছেন। সীমান্ত এলাকায়ও রাখা হচ্ছে তীক্ষè নজর। আমরা আশা করব যেকোনো মূল্যে দুই পলাতক আসামিকে ধরার চেষ্টা চালানো হবে। এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে, এমনটিও প্রত্যাশিত।