দেশের হাসপাতালগুলো রোগীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। ডেঙ্গুকে বলা হতো মৌসুমি রোগ। যার বিস্তৃতি দেখা যেত বর্ষা মৌসুমে। সেপ্টেম্বরেই বিদায় নিত ডেঙ্গুর অপছায়া। এ বছর অক্টোবরে রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। নভেম্বরের শেষ প্রান্তেও তা ছড়ি ঘোরাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গত বুধবার সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫১৫ জন। যার অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ২৬৬ জন ঢাকার হাসপাতালগুলোতে। ঢাকার বাইরে ২৪৯ জন। বুধবার মারা গেছেন তিনজন ডেঙ্গু রোগী। অনুমান করা যায়, হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসাধীন রোগীও কম নয়। করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ এখনো ছড়ি ঘোরাচ্ছে বাংলাদেশে। বুধবার এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন। মৌসুমি জ্বর কিংবা সংক্রামক রোগের বাইরে নিউমোনিয়া, টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীতে ভর্তি প্রায় প্রতিটি হাসপাতাল। এর সঙ্গে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ, করোনা-পরবর্তী জটিলতাসহ নানা ধরনের রোগী বাড়ছে হাসপাতালে। রোগ শনাক্ত বাড়ায় এবং নানা রোগের প্রকোপে রোগীর চাপ সবসময়ই থাকছে। দেশের হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডগুলো নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিস আক্রান্ত শিশু রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালের মেঝেতে বা বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেক রোগী। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সারা দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালে শিশু নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অক্টোবরের তুলনায় শিশু হাসপাতালে চলতি মাসে ১০ শতাংশ বেশি নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের তথ্যানুযায়ী এখন হাসপাতালে প্রতিদিন যত রোগী ভর্তি হচ্ছে তার প্রায় অর্ধেকই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ঢাকার বাইরে থেকে রোগী বেশি আসছে। দেশের প্রায় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালকে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো জরুরি হয়ে উঠেছে।