মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সহজ হচ্ছে কৃষিঋণ

এনজিও শোষণ হ্রাস পাবে

বৈশ্বিক খাদ্যাভাব মোকাবিলায় সরকার দেশে খাদ্যোৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কৌশল বাস্তবায়নে কৃষককে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের কৃষকের বড় অংশ কৃষি উৎপাদনে এনজিও নামের নব্য সাইলকদের কাছ থেকে ঋণ নেন। বলা যায়, এ ঋণের আষ্টেপৃষ্ঠে আবদ্ধ দেশের সিংহভাগ কৃষক। ব্যাংকের বিপরীতে এনজিও ঋণের সুদের হার অন্তত তিন গুণ বেশি। ব্যাংক ঋণ নিয়ে কৃষক চাষাবাদের সুযোগ পেলে কৃষি উৎপাদনে উৎসাহী হবে। কৃষককে ব্যাংক ঋণ নিতে হয়রানির সম্মুখিন হতে হয় এমন অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। এ বিড়ম্বনার অবসানে এখন থেকে কৃষকের দরজায় ঋণ নিয়ে যাবে ব্যাংক। ব্যাংকের শাখায় চালু হবে কৃষিঋণ বুথ। কৃষকের এনজিওনির্ভরতা কমাতে নেওয়া হবে এ উদ্যোগ। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রান্তিক পর্যায়ে দরিদ্র কৃষকের মাঝে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ সহজ করতে ব্যাংক ও কৃষকের দূরত্ব কমিয়ে আনা হচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বেশি সুদের ঋণ বিতরণ কমিয়ে ব্যাংকগুলোকে সরাসরি ঋণ নিয়ে কৃষকের দরজায় যেতে বলা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সহজে কৃষকের কাছে ঋণ পৌঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ঋণ বিতরণে এনজিওগুলোর অংশগ্রহণ কমানোর জন্য অনেক নির্দেশনা দিয়েছে। বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংক সরাসরি ঋণ বিতরণ করে না। তারা ঋণ বিতরণের জন্য বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করে। এনজিওর মাধ্যমে বিতরিত ঋণের সুদ ২৪ শতাংশ পর্যন্ত। যেখানে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করছে ৮ শতাংশ সুদে। কৃষকের জন্য ব্যাংক ঋণ সহজতর করার সিদ্ধান্ত অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য। তবে ইতোমধ্যে দেশের সিংহভাগ কৃষক এনজিও নামের রক্তচোষা ভাম্পায়ারদের কবলে পড়ায় তাদের উদ্ধারের উদ্যোগও নিতে হবে সরকারকে। এ উদ্দেশ্যে ঋণ সালিশি বোর্ড গঠনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা যেতে পারে। কৃষকসহ দেশের গরিব মানুষকে রক্ষায় তা হবে সর্বোত্তম পথ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর