নির্মেদ শরীরের জন্য আমরা কত কী না করি! জিম, ডায়েটে অনেক ব্যয়ও করে ফেলেন। তবে মেদহীন সুস্থসবল শরীর পেতে জীবনযাপনের অভ্যাস সবার আগে পাল্টানো প্রয়োজন। অসময়ে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া, মদপানের অভ্যাস এবং শরীরচর্চায় অনীহার জন্যই ওজন বাড়ে। তাই এ বিষয়ে আগে সচেতন হওয়া দরকার। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে কিছু টোটকা জানা থাকলে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজে আসতে পারে। বেশকিছু মসলা বাড়ির রান্নাঘরেই আছে, যেগুলো সঠিকভাবে খেলে ওজন বাড়তে দেয় না। এমনকি রান্নায় ব্যবহারে খাবারও হয় সুস্বাদু। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
যেমন মেদ কমাতে হলুদের বিস্তর ভূমিকা আছে। হলুদের কারকিউমিন যৌগ শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া সক্রিয় করে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। রান্নার স্বাদ যেমন বাড়ায় তেমনই হজমের সমস্যা দূর করে জিরা। এ মসলা বাতের নানা সমস্যাও কমায়। শরীরে অবাঞ্ছিত মেদ জমতে বাধা দেয়। মেথিতে থাকে উপকারী থিয়ামিন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ও ভিটামিন এ, বি, ই। ওজন ঝরাতে প্রতিদিন মেথি ভেজানো পানি ও মেথি ভাজা খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস ও বাতের সমস্যা দূরে রাখতেও মেথির ভূমিকা অনস্বীকার্য। গোলমরিচও উপকারী মসলার মধ্যে অন্যতম। খাদ্যে রুচি বাড়ায়। কৃমির সমস্যা দূর করে। দেখা গেছে স্থূলকায় ব্যক্তি প্রতিদিন গোলমরিচ খেলে তার ওজন কমতে বাধ্য। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, গোলমরিচে থাকা পিপারিন যৌগটি ফ্যাট সেল বাড়তে বাধা দেয়। এ ছাড়া গোলমরিচে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানও রয়েছে। স্থূলকায় ব্যক্তিদের বেশি খিদে পায়। এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে দারচিনি। খিদে কমাতে সাহায্য করে। দারচিনিতে থাকে পলিফেনল যৌগ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে রান্নায় দারচিনির ব্যবহার সুগার রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া দারচিনি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ওজন কমাতে ও করোনারি হার্ট ডিজিজ প্রতিরোধে সক্ষম। মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে শর্ষে। শর্ষের মধ্যে নিয়াসিন রয়েছে যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।