শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সিসি ক্যামেরা

ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে হবে নিরাপদ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে দেশের অর্থনীতির রক্ত সঞ্চালন শিরা হিসেবে ভাবা হয়। এ সড়কের নিরাপত্তা রক্ষায় মহাসড়কের ৪৯০টি স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসানোর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেমের কারণে ট্রাফিকব্যবস্থা হাইওয়ে পুলিশের নখদর্পণে চলে আসবে। এ উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রবেশদ্বার সিটি গেট থেকে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত বসানো হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ১ হাজার ৪৭১টি সিসিটিভি ক্যামেরা। মহাসড়কের যাত্রীদের নিরাপত্তা, যান চলাচল নির্বিঘ্ন করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা ও অপরাধ প্রতিরোধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের অধীনে ২০২১ সালের ২৩ জুন মহাসড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মহাসড়কে ক্যামেরা বসাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ডাটা প্রবাহের জন্য বিটিসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের চুক্তিও হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি গেট থেকে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ দুটি রেঞ্জে বিভক্ত। সিটি গেট থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা পর্যন্ত কুমিল্লা রেঞ্জ। দাউদকান্দি থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত গাজীপুর রেঞ্জ। মহাসড়কে লাগানো ৪৯০টি পোল ৫টি মনিটরিং সেন্টার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একটি সেন্টারে ডাটা রেকর্ড হবে। ৪৭৪টি খুঁটি গাড়ি ও চালক শনাক্ত করবে, ১৬টি চেক পয়েন্ট খুঁটি থাকবে, যেগুলো বেপরোয়া গতি শনাক্ত করবে। ক্যামেরা থেকে ডাটা রেকর্ডের জন্য মেঘনাঘাট এলাকায় একটি দ্বিতল ডাটা সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হলে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অপরাধপ্রবণতা প্রায় শূন্যে নেমে আসবে- এমনটিই আশা করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর