শিরোনাম
বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কালাজ্বর শনাক্তকরণ

ঢাবির গবেষকদের সাফল্য আশাজাগানিয়া

কালা আজার বা কালাজ্বর শনাক্তের সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গবেষকদের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত মলিকুলার ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি যেমন নির্ভুল তেমন রোগীবান্ধব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন গবেষক সাত বছর ধরে গবেষণার পর কালাজ্বর শনাক্তকরণের সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। বিশ্বখ্যাত পিএলওএস গ্লোবাল পাবলিক হেলথ জার্নালে তা প্রকাশিত হয়েছে। কালাজ্বর শনাক্তের সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবন নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে মানুষের বোনম্যারো বা অস্থিমজ্জা সংগ্রহ করে কালাজ্বরের পরজীবী শনাক্ত করা হয়। এতে সাত দিনের মতো সময় লাগে। আবার আরটি-পিসিআর ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমেও স্বল্প সময়ে পরীক্ষা করা যায়। তবে পদ্ধতিগুলো বেশ জটিল। নতুন উদ্ভাবনীর মাধ্যমে মূত্র নমুনা হিসেবে ব্যবহার করে আরটি-পিসিআর মেশিনের সাহায্যে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই কালাজ্বর শনাক্ত করা সম্ভব হবে। ফলে সময় বাঁচানোর পাশাপাশি নতুন এ উদ্ভাবনে স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমাবে। প্রচলিত পদ্ধতি ইনভ্যাসিভ, কিন্তু ঢাবির গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতি নন-ইনভ্যাসিভ। অর্থাৎ কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া ছাড়াই রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে; ফলে এটি রোগীবান্ধব। প্রচলিত পদ্ধতিতে নমুনা হিসেবে অস্থিমজ্জা, স্পি­ন অ্যাসপিরেট কিংবা লিভার বায়োপসি সংগ্রহ বেশ জটিল। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণের ঝুঁকিও থাকে। কিন্তু প্রস্রাব সংগ্রহ খুবই সহজ। এ পদ্ধতিতে কোনো ঝুঁকিই নেই। সহজে শনাক্তকরণ কালাজ্বরের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াইয়ে শক্তি জোগাবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর