বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মডেল মসজিদ উদ্বোধন

প্রকৃত ইসলাম চর্চার সুযোগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। প্রথম পর্যায়ে উদ্বোধন করা হয়েছিল একই ধরনের ৫০টি মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। দেশে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০টি মসজিদ উদ্বোধনকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কেন সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সে ব্যাখ্যা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো থেকে জনগণ ইসলামী মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করবে। যা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারী নির্যাতন বন্ধের পাশাপাশি ধর্মের নামে বিভ্রান্তি দূরীকরণে অবদান রাখবে। মডেল মসজিদে ইসলামী মূল্যবোধের চর্চা হবে, ধর্ম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান বাড়াবে, ইসলামী সংস্কৃতি বিকাশের সুযোগ হবে। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সরকার চলে বলেই ইসলাম ধর্ম ও শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়। সরকার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের মর্যাদা দিয়েছে, ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলা সদরে একটি করে মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে কেউ যেন মানুষকে বিপথে নিতে না পারে, প্রকৃত ইসলামের মূল্যবোধ সম্পর্কে মানুষের মাঝে যেন সচেতনতার সৃষ্টি হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখেই সরকার মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। স্মর্তব্য, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্য করেন। সোহরাওয়ার্দী ময়দানে রেসখেলা বন্ধসহ মদ-জুয়া নিষিদ্ধ করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মাদরাসা বোর্ড, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জায়গা সুনির্দিষ্ট করেন বঙ্গবন্ধু। বিশ্ব ইজতেমার জায়গাও দিয়েছেন তিনি। ইসলামকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের বদলে এর কল্যাণমুখী ভূমিকাকে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধু। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে প্রকৃত ইসলামকে এগিয়ে নেওয়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর