মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘাড়ে চেপে বসা ভূত

ওদের হাত থেকে রেহাই পেতে হবে

বাংলাদেশের ঘাড়ে মামদো ভূতের মতো চেপে বসেছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশ মিয়ানমারের এই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছিল মানবিক কারণে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এবং তাদের সঙ্গে একই সুরে বাংলাদেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর চাপে সরকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতায় উপনীত হলেও কথা দিয়ে কথা রাখছে না প্রতিবেশী দেশটি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এশিয়ার এ অঞ্চলের সবচেয়ে অপরাধপ্রবণ জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ পড়েছে বিপাকে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য এ দুর্বিনীতরা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই ক্যাম্প থেকে পালিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। চলতি মাসেই সাড়ে সাত শর বেশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অন্যত্র যাওয়ার পথে ও জালিয়াতি করে পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক হয়েছে। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে মিয়ানমারের এ নাগরিকরা। আর টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের জাল পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে পালাতে সহায়তা করছে কিছু অসাধু বাংলাদেশি। গত ১৮ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে পালিয়ে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার পথে ৭৫৯ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করে পুলিশ। আটক রোহিঙ্গাদের বড় অংশই আর ক্যাম্পে ফিরত না বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরদিন ১৯ জানুয়ারি নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা থেকে পালিয়ে এসে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে স্থানীয়দের হাতে আটক হয় তিন রোহিঙ্গা। ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়ই ধরা পড়ছে। ভুয়া পরিচয়ে বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে অবস্থান করায় দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ অবাঞ্ছিতদের বোঝা ঘাড় থেকে নামাতে সরকারকে কঠোর হতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো শিথিলতা থাকা উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর