শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভেষজ

শারীরিক সমস্যায় টমেটো

শারীরিক সমস্যায় টমেটো

ফলের রাজা যদি হয় আম, তবে সবজির রাজা অবশ্যই বলা উচিত টমেটোকে। টমেটো যেমন হার্টের সমস্যা দূরে রাখতে পারে তেমনই ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা রুখতেও এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোনপেন প্রস্টট, কোলোরেক্টাল বা পেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দেয়। এই প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখতে পারে। কাঁচা টমেটোর থেকেও বেশি উপকারী রান্না করা টমেটো। তাই যত পারেন টমেটো স্যুপ খান, রান্নাতেও ব্যবহার করেন টমেটো। টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন ‘বি’ ও পটাশিয়াম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে যদি টমেটো থাকে তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও অন্যান্য হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কিডনি ভালো রাখতে টমেটো খেতে পারেন। টমেটোর মধ্যে থাকা ক্রোমিয়াম ও অন্যান্য মিনারেল রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। টমেটোর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘কে’ থাকে। হাড়ের টিস্যু ঠিকঠাক রাখতে ও ছোটখাটো সমস্যা দূর করতে টমেটো অপরিহার্য।

চোখের সমস্যা : চোখের দৃষ্টি উন্নত করতে টমেটোর ভূমিকা অপরিসীম। শিশুদের ডায়েটে তাই অবশ্যই টমেটো রাখুন। ধূমপানের ফলে শরীরে যে ক্ষতি হয় তার প্রভাব কমাতে পারে টমেটোর মধ্যে থাকা কোমেরিক অ্যাসিড ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’। এই ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা রক্তে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে ভাসমান এসব রাসায়নিক শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। টমেটো যত লাল হবে তত বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ বেশি থাকবে। তবে রান্নার ফলে নষ্ট হয়ে যায় ভিটামিন ‘সি’, তাই যত পারেন কাঁচা টমেটো খান। টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন থাকে। যে কারণে অনেক ফেসিয়ালের মূল উপাদান থাকে টমেটো। ত্বকের কালো ছোপ যেমন দূর করে টমেটো, তেমনই ঔজ্জ্বল্যও বাড়ায়।

আফতাব চৌধুরী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর