বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আইএমএফের ঋণ

বাংলাদেশ সম্পর্কে আস্থা সৃষ্টি করবে

বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী ঋণ পাচ্ছে। সোমবার বাংলাদেশের জন্য সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ ৪২ মাসের মধ্যে সাত কিস্তিতে ৪.৫ বিলিয়ন পাবে, যার প্রথমটি পাওয়া যাবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগে। অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন আইএমএফ বাংলাদেশকে হয়তো ঋণ দেবে না। বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক ক্ষেত্রগুলো দুর্বল, এমন প্রচারণা জোরদার হয়ে ওঠায় আইএমএফ ঋণ দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদন প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের মৌলিক ক্ষেত্রগুলো ম্যাক্রো অর্থনীতির একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বাংলাদেশ ছোটবড় আকার মিলিয়ে সংস্থাটি থেকে মোট ১০ বার ঋণ নিয়েছে। প্রথমবার নেয় ১৯৭৪ সালে। এরপর ১৯৮০-৯০ সময়ে ঋণ নেওয়া হয় পাঁচবার। ১৯৯০ সালে নেওয়া ঋণের বিপরীতে আইএমএফের শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) চালু করা। বাণিজ্য উদারীকরণসহ ব্যাংক খাতের সংস্কারের শর্তও ছিল তখন। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়তে থাকে এবং আসতে থাকে বিদেশি বিনিয়োগ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানিও বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ বর্তমান সরকার আমলে কখনো আইএমএফের দ্বারস্থ হয়নি। চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকায় আইএমএফের ঋণ পাওয়া যাবে কি না সে সংশয় ছিল। রাজনৈতিক কারণে দেশের একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অর্থনীতির হালহকিকত সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে এবং অপপ্রচার চালিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্ট করে। আইএমএফের ঋণ প্রাপ্তির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে ঘরে-বাইরে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। অন্যান্য অর্থনৈতিক সংস্থার সহায়তা পেতে সুবিধা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর