সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পরগাছা ও দালাল দিয়ে দেশ চলে না

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

পরগাছা ও দালাল দিয়ে দেশ চলে না

শিরোনামের কথাটি আমার নিজের নয়। তবে কথাটিকে স্বতঃসিদ্ধ সত্য বলে মনে করি। কথাটি বলেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ১/১১-এর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক আটক হয়ে প্রায় আট মাস জেলে থাকার পর ২০০৮ সালের জুন মাসে আদালতে হাজির করা হলে তিনি প্রায় ১৫ মিনিটের একটা ভালো বক্তৃতা দিয়েছিলেন।  তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে উদ্দেশ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘পরগাছা ও দালাল দিয়ে দেশ চলে না। তখন সত্যিই পরগাছা ও দালালদের হাতে পড়ে দেশব্যাপী এক ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সরকার নাম ধারণ করেছিল কথিত নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই সরকারের পেছনে অনেক ক্ষমতাবান দেশি-বিদেশি ব্যক্তি ও পক্ষ থাকলেও অনেকে সেটিকে মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার বলেও ডাকতেন। তাদের সীমাহীন অপকর্মের ফলে নিরপেক্ষ কথাটি মানুষের কাছে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে যায়, গালিতে পরিণত হয়। তাই সেদিন বেগম খালেদা জিয়া মানুষের মনের কথাই বলেছিলেন। এ প্রসঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার আরেকটি কথাও মনে পড়ে। তিনি একবার বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তাই হয়তো বিএনপি এখন নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য কয়েকজন শিশু ও পাগল খুঁজছেন। বেগম খালেদা জিয়া যাদের পরগাছা ও দালাল বলেছেন তারা ২০০৬ সালের শেষের দিকে সংঘটিত চরম রাজনৈতিক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। রাজনীতির পরগাছা এই সুপরিচিত ভদ্রবেশী শেকড়হীন জনবিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী নতুন এক বিদেশি শক্তির হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একবার বলেছিলেন, আমার কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ দেশের সঙ্গে বেইমানি করে না, করে কোট-স্যুট পরা কথিত ভদ্রলোক। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তারা ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য ভঙ্গিতে ঘোষণা দিলেন এবার দেশের সবকিছু ঠিক করে ফেলবেন। সব ধুলাবালি ঝেড়ে বিদায় করবেন এবং দেশ একদম ধবধবে হয়ে যাবে। মানুষ বাহ্বা দিলেন! কিন্তু তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক কদর্য মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর খড়গহস্ত হওয়ার দৃশ্য দেখে অচিরেই মানুষের মোহ ভঙ্গ ঘটে। ক্ষমতাবান উপদেষ্টাদের কথাবার্তা ও কর্মকান্ড থেকে তখন মনে হয় শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগই বোধহয় দেশের বড় দুশমন। অথচ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার ২১ বছর পর ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা স্বচ্ছ ও সফল সরকারের উদাহরণ সৃষ্টি এবং মেয়াদ শেষে যথাসময়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। বিপরীতে ১/১১ সরকারের অব্যবহিত আগের বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় বৈশ্বিক সূচকে পর পর চারবার দুর্নীতিতে ১ নম্বর দেশ হয়েছে এবং মেয়াদ শেষে তারা সাংবিধানিক ও শান্তিপূর্ণ পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায়নি বলেই দেশে সংঘাত-সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তাই সংগত কারণেই প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক সরকারের দোষত্রুটির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাই যদি তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে তারা বিএনপির বিরুদ্ধে তা না করে কেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে করতে গেল। আর তারা যদি মনে করে থাকে বিএনপি সব দোষত্রুটির ঊর্ধ্বে, তাহলে পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির বিরুদ্ধে কেন খড়গহস্ত হলো কারণটি স্পষ্ট। পরগাছা ও দালাল চক্র ভালো করে জানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির শেকড় বাংলাদেশের মাটির গভীরে প্রোথিত, হাজার হাজার বছরের সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিটি ধমনিতে আওয়ামী লীগের শেকড় রয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছর সংগ্রাম ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি পাতায় অমোচনীয় কালিতে লেখা আছে আওয়ামী লীগের সমৃদ্ধ ইতিহাস। সুতরাং তারা ভেবেছিল আওয়ামী লীগ ও তার প্রাণভোমরা শেখ হাসিনাকে বিদায় করতে পারলে বিএনপি তাদের জন্য কোনো বিষয় হবে না। ভেবেছিল আওয়ামী লীগ শেষ হওয়ার পর এমনিতেই বিএনপি শেষ হয়ে যাবে, আর নয়তো তাদের হাত ধরে দ্বন্দ্ব মিলে এক হয়ে যাবে। কিন্তু দেশি-বিদেশি চাপে কথিত নিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্য শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রায় দুই মাস পর বাধ্য হয়ে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে, বিএনপিও বেকায়দায় পড়ে যায়। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় যদি দেশের মানুষ, মাটি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সম্পর্ক না থাকে তাহলে যেটা হওয়ার কথা সেটাই হলো। তাদের ধুলা দূর করার অভিযানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জুতা আবিষ্কার কবিতার মতো অবস্থা হলো,’ করিতে ধুলা দূর/জগৎ হলো ধুলায় ভরপুর। দেশব্যাপী হাহাকার পরিস্থিতি। ব্যবসায়ীরা হাত-পা গুটিয়ে বসে গেল, কিছু পালিয়ে বিদেশে চলে গেল। প্রান্তিক মানুষ কাজকর্ম হারিয়ে দেয়ালে মাথা ঠোকাতে লাগল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ সর্বত্র দিশাহারা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বন্দুক আর মিলিটারির ভয় মানুষের থাকে না। ফলে এক সময়ে মানুষ রুখে দাঁড়াল। দেশের অভ্যন্তরে শেকড়হীন হলে শুধু ক্ষমতাশালী বিদেশি শক্তির পরগাছা ও দালাল হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে টিকে থাকা যায় না সেটি আবার প্রমাণিত হলো। ১/১১-এর কথিত নিরপেক্ষ প্রতাপশালী সরকার জনগণের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হলো। কিন্তু আজকে প্রায় ১৫ বছর পর বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক আখ্যায়িত দালাল ও পরগাছা চক্র পুনরায় সুসংগঠিত হয়ে দেশে-বিদেশে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং বিশাল অর্থকড়ি নিয়ে সেই পুরনো উদ্দেশ্য, অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চোরাইপথে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে এবার তাদের প্রথম বহির্প্রকাশ ঘটে ২০১১-২০১২ সালে। তারা চতুর্মুখী আক্রমণ চালায় যে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশাল দুর্নীতি হয়েছে। অথচ তখনো পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি, প্রকল্পের একটি টাকাও ছাড় হয়নি। পরবর্তীতে কানাডার ফেডারেল আদালতে প্রমাণ হয়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তারপর তিনারা কিছুটা চুপসে গিয়েছিল কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তারা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। এবার তাদের সঙ্গী ওই বিএনপি, যে বিএনপি নেত্রী তাদের পরগাছা ও দালাল বলে আখ্যায়িত করেছিল। এই দুই পক্ষের কমন শত্রু এখন আওয়ামী লীগ। দেশের উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, সার্বিক অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা নিয়ে যখন কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না, তখন বায়ুবীয় অভিযোগ তুলছে এই মর্মে যে, দেশে গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই ইত্যাদি। তারা যখন এই অভিযোগ তুলছে তখন ‘দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকার ইন্টেলিজেন্স শাখার প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, বৈশ্বিক গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশ ক্রমশই ওপরের দিকে উঠছে। এবার বিশ্বের মধ্যে ৭৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, যেখানে আগে ছিল ৭৫তম স্থানে। তাই বলে এটা নয় যে, এ অবস্থান নিয়ে আমরা খুব খুশি, মোটেই তা নয়। এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি। কথা হলো ক্রমশই আমরা এগোচ্ছি, পেছনে যাচ্ছি না। দ্বিতীয়ত, বাংলা প্রবাদ বাক্যের মতো জালি সুইকে বলছে তোর পেছনে ছিদ্র রয়েছে। তথাকথিত নিরপেক্ষ সুশীল, বেগম খালেদা জিয়ার ভাষায় পরগাছা ও দালাল গোষ্ঠী ২০০৭-২০০৮ সালে সুযোগ পেয়ে রাজনীতি ও গণতন্ত্র দুটোকেই সম্পূর্ণ কবরস্থ করার চেষ্টায় নেমেছিল। এবার বিএনপির কথায় আসি। বিএনপি প্রকৃতপক্ষেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। তাদের বিশাল কর্মী-সমর্থক রয়েছে। সে জন্যই তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দল-নিরপেক্ষ জনগণ নয়, নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে মাঠ ভরে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যে মূল্যবোধ ও আদর্শের রাজনীতি বিএনপি করছে, সেটি কি এ দেশের মাটি থেকে উৎপত্তি, নাকি এটিও আরেকটি পরগাছা। বাঙালি সংস্কৃতি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের সংগ্রাম ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য থেকে যে রাজনীতির উৎপত্তি সেটাই বাংলাদেশের শেকড়ের রাজনীতি। এর বাইরে যে রাজনীতি তার সবই পরগাছা। সেই পরগাছার মূল গাছের নাম পাকিস্তান। বাংলাদেশের মাটিতে প্রোথিত শেকড়ের যে রাজনীতি তত্ত্বগতভাবে তার লিখিত প্রতিফলন ঘটে বাহাত্তরের সংবিধানে। কিন্তু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং বিএনপি এখনো যাকে রোল মডেল হিসেবে মানে ও অনুসরণ করে সেই জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতার মালিক হয়ে, সব রকম ডিউ প্রসেসকে উপেক্ষা করে, জনগণের মতামত, জনপ্রতিনিধি ও পার্লামেন্টের তোয়াক্কা না করে সামরিক আদেশ দ্বারা বাহাত্তরের সংবিধান থেকে বাঙালি সংস্কৃতি, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিফলন ঘটে এমন সব শব্দ, বাক্য ও অনুচ্ছেদ বাতিল করে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্রকে শেকড়হীন করে ফেলেন। বিএনপি এখনো সেই রাজনীতিই করছে। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে জামায়াতের দুজন যুদ্ধাপরাধীকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বানানোর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে বিএনপি নিজের শেকড় নয়, অন্য গাছের ওপর নির্ভরশীল। বিএনপি যে শুধু পরগাছার মতো রাজনীতি করছে তা নয়, তারা পাকিস্তান নামক গাছের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো, বিএনপির সব আমলের সরকারই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সব ধরনের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ করেছে। চট্টগ্রামের সালাউদ্দিন কাদের ওরফে সাকা চৌধুরী ফাঁসিতে ঝোলার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে বসে রাজনীতি করেছেন, যার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানো। সাকা চৌধুরীর ঔদ্ধত্য আচরণের কোনো সীমা-পরিসীমা ছিল না। সুযোগ পেলে তিনি বিএনপিকেও ছেড়ে কথা বলতেন না। ২০০১ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির টপ নেতৃত্বকে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, এখন কুকুরে লেজ নাড়ে না, লেজে কুকুর নাড়ায়। এহেন সাকা চৌধুরীকে ক্ষমতায় এসে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বেগম খালেদা জিয়া ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেখানেই শেষ নয়, ওআইসি মহাসচিব পদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষে মনোনয়ন দেন। কিন্তু রাষ্ট্রের তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরও চরম পরাজয়ের গ্লানি জাতির স্কন্ধে আরোপিত হয়। তাতে বিএনপির রাজনীতিতে গাছ আর পরগাছার পরিচয় ও চরিত্রটি আরও স্পষ্ট হয়। বিএনপি যদি সত্যিকারার্থে পরগাছার পরিচয় ত্যাগ এবং বাংলাদেশের মাটি থেকে উৎপত্তি হওয়া রাজনৈতিক গাছ হতে চায় তাহলে বাঙালি সংস্কৃতি প্রসূত বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে আসতে হবে।  একই সঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের সংগ্রাম ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ফিরতে হবে।  কারণ বেগম খালেদা জিয়া সঠিক কথাই বলেছেন, পরগাছা ও দালাল দিয়ে দেশ চলে না। এ কথার সঙ্গে কারও দ্বিমত থাকতে পারে না।

 

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

সর্বশেষ খবর