রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

হৃদরোগ চিকিৎসা

বাংলাদেশের অগ্রগতি আশাজাগানিয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ এখন হৃদরোগের চিকিৎসায় প্রায় স্বনির্ভর। দেশেই হৃদরোগের ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ চিকিৎসার সক্ষমতা রয়েছে এবং এজন্য দক্ষ জনশক্তি, আধুনিক প্রযুক্তি এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও রয়েছে। শুক্রবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে দেওয়া ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে প্রতি বছর হৃদরোগে ১৭.৯ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। বাংলাদেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রায় ২৭ শতাংশ। প্রতি হাজারে ১০ জন শিশু হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতি পাঁচ যুবকের মধ্যে একজন হৃদরোগের ঝুঁকিতে। খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক ব্যায়ামের অভাব, ধূমপান ও ডায়াবেটিসের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হৃদরোগীদের চিকিৎসা সুবিধা উন্নত করার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ওপর নজর দিতে হবে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১টি স্নাতকোত্তর ‘সুপার বিশেষায়িত হাসপাতাল’, কার্ডিওভাসকুলার হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, ক্যান্সার হাসপাতাল, নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতাল স্থাপনের পাশাপাশি সারা দেশে ৬০০টির বেশি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। সারা দেশে ৪৩টি হাসপাতালে টেলি-মেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। যেখানে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রয়েছে ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিক। ৫ লাখ অটিস্টিক শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ১০৩টি সেবা কেন্দ্র চালু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে পোলিও ও ধনুষ্টংকারমুক্ত দেশ ঘোষণা করেছে। প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। দেশের স্বাস্থ্য খাতে গত ১৪ বছরের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য নিঃসন্দেহে আশাজাগানিয়া। স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের সদিচ্ছা নিশ্চিত করতে একই সঙ্গে সরকার সক্রিয় হবে- এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর