সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

তুচ্ছ কারণে সংঘর্ষ

রাবিতে যা ঘটেছে তা প্রত্যাশিত নয়

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। ঘটনার জের হিসেবে স্থানীয়রা বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং শাহ মাখদুম হলের প্রাধ্যক্ষের বাসভবন ভাঙচুর করেছে। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর বাজারের দোকানপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেছেন এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। বাসে বসাকে কেন্দ্র করে বাসের হেলপারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বচসা সংঘর্ষে রূপ নেয়। স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের সময় বিনোদপুর বাজারের কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে সে তথ্য তিনি জানাননি। বিনোদপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী বাসের হেলপার ও ড্রাইভারকে মারতে শুরু করেন। পরে তারা দৌড়ে পাশেই ইমরানের জুতার দোকানে গিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তখন ইমরান তাদের রক্ষার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। তখন অন্য দোকানিরা এগিয়ে এলে সবাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে ৩০টি দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের হামলায় কয়েকজন দোকানদার আহত হয়েছেন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা ও সংঘর্ষের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের একাংশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এর ফলে স্থানীয়দের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে স্থায়ীভাবে। যা শুধু অনাকাক্সিক্ষতই নয় দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করব শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে উভয় পক্ষই সংযমের পরিচয় দেবেন। এ ঘটনা যাতে আরও অশান্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সে জন্য সব পক্ষ সতর্ক থাকবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর