শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইতিহাসের মহানায়ক

জাতির পিতার জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা

সর্বকালের সেরা বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। একজন ব্যক্তি কীভাবে আপন মহিমায় ইতিহাসের মহানায়ক হয়ে উঠতে পারেন বঙ্গবন্ধু তারই উদাহরণ। পদ্মা মেঘনা যমুনা বুড়িগঙ্গা পাড়ের মানুষের পরিচিতি ছিল সেই বৈদিক যুগেও বীরের জাতি হিসেবে। গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের সময়ও সমীহ করা হতো এ জাতির সাহস ও বীরত্ব। তারপর ঘনিয়ে আসে অন্ধকার। পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয় এ দেশের মানুষ। সেই অভিশপ্ত অধ্যায়ের অবসান ঘটে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। দুনিয়ার ইতিহাসে তাঁর মতো জনপ্রিয় কোনো নেতার অভ্যুদয় হয়নি। ১৯৭০-এর নির্বাচনে বাংলাদেশের দুটি আসন বাদে সব কটিতে জয়ী হয় বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ। কিন্তু পাকিস্তানের সেনাপতি শাসকরা বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হয়নি। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। ১৯৭১ সালের ৩ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনে পরিচালিত হয় পুরো বাংলাদেশ। সেনানিবাস ছাড়া কোথাও পাকিস্তানি শাসনের অস্তিত্ব ছিল না। ’৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি হত্যায় মেতে উঠলে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পাকিস্তানি হানাদাররা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। তবে আগেভাগে তাঁর দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তানি দখলদাররা মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার ২৪ দিন পর পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু। দেশ পুনর্গঠনে নেমে পড়েন শূন্য অবস্থা থেকে। কিন্তু ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তানি চরদের হাতে নিহত হন ইতিহাসের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ারই চেষ্টা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অজেয় আদর্শ পরাভূত করতে পারেনি ’৭৫-এর খুনিরা। বঙ্গবন্ধু আরও উজ্জ্বলভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছেন বাঙালির হৃদয়ে। বাঙালির হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু আছেন বলেই ফিনিক্স পাখির মতো ভস্ম থেকে উড়াল দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের এ জাতি। জাতির পিতার জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর