শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক এ ধরনের সাংবাদিকতা

দেশের স্বার্থেই এটা প্রয়োজন

দেশের সাংবাদিকতার অবস্থা দেখে সাধারণ নাগরিকরা অনেকেই মাঝেমধ্যে হতাশায় ভোগেন। ঘটনাকেন্দ্রিক সংবাদ পরিবেশনা থেকেই উদ্ভূত এ হতাশা। হতাশাজনিত উক্তিগুলো প্রায়শ চিন্তা উদ্রেক করে। যেমন- ‘এটা যদি সাংবাদিকতা তাহলে উচ্ছৃঙ্খলতা বলা হবে কাকে?’ এমনও কেউ কেউ বলেন, সংবাদ বানানোর সময় যারা বিবেক বর্জন করে, দেশপ্রেম মুলতবি রাখে, ‘মারি-অরি-পারি যে কৌশলে’ রীতি অবলম্বন করে তাদের রুখে না দেওয়াটা সামাজিক অপরাধের তুল্য। ছয় দিন ধরে নাগরিকদের মধ্যে এ ধরনের কথোপকথন চলছে। এর কারণ, মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধ দেখছে এক শিশু আর ছবির নিচেই এক দিনমজুরের মন্তব্য হিসেবে একটি পত্রিকার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত কিছু কথা। দ্রুত জানাজানি হয়ে গেল যে, শিশুটিকে ‘দিনমজুর’ বলে চালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এতে যাঁরা খুবই কুপিত তাঁরা বলছেন, ‘হিডেন এজেন্ডার ভিত্তিতেই মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে ওই মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন।’ আমরা শুধু বলব, বন্ধ হোক এ ধরনের সাংবাদিকতা। দেশের স্বার্থেই এটা বন্ধ হওয়া চাই। একটা শিশুর হাতে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে তার নাম করে একটা সংবাদ পরিবেশন করা তাও আবার স্বাধীনতা দিবসে, এটা দেশের জন্য ক্ষতিকর। এমন যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু বিদেশিদের কেউ কেউ এ ব্যবস্থা গ্রহণ দেখে ‘বাকস্বাধীনতা গেল গেল’ রোয়াব তুলছে।  বিবৃতি দিচ্ছে। বিদেশিদের মনে হয় অপরাধীদের পক্ষে থাকাটাই চরিত্র। সাংবাদিক হলেই সব অপরাধ মাফ, আর অপরাধী ধরলে হিরো হয়ে যায়। তারা ভুলে যায় কেন যে, মহান স্বাধীনতার অবমাননা করা, শিশুকে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে অপব্যবহার করা, শিশুর জীবনটাকে শঙ্কিত করে দেওয়া অমার্জনীয় অপরাধ। ক্লাস ওয়ানে পড়া একটা শিশুকে এভাবে ব্যবহার করে নিউজ করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করতে চাওয়া জঘন্য অপরাধ। এ জঘন্য অপরাধের জন্য তাদের গ্রেফতার করলে বিদেশিরা ঝাঁপ দিয়ে পড়ে। যেসব দেশ বিবৃতি দিয়েছে সেসব দেশে কোনো একটা শিশুকে যদি এভাবে এক্সপ্লয়েট করা হতো তারা কী করত, কী ব্যবস্থা নিত? তাদের কাছে জানতে চাই।

 

সর্বশেষ খবর