বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতুতে রেল

রচিত হলো নতুন ইতিহাস

পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মঙ্গলবার পার হয়েছে ট্রেন। পদ্মা সেতুতে সড়ক পথ চালুর ১০ মাসের মধ্যে রেলপথ উন্মোচনকে সাফল্যের রঙিন ফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা ১টা ২১ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে রওনা হয়ে একটি বিশেষ ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশনে পৌঁছায়। ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত ৪২.২ কিলোমিটার পথে সময় লেগেছে দুই ঘণ্টা। মূল সেতু পার হতে সময় লেগেছে ২০ মিনিট। বিশেষ এ ট্রেনটি ঘণ্টায় গড়ে ২২ কিলোমিটার গতিতে এ পথ পাড়ি দিয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে মঙ্গলবার পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করলেও বাণিজ্যিকভাবে এ পথ দিয়ে রেল চলাচলের জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি জাজিরায় পদ্মা স্টেশন দিয়ে যাওয়ার সময় কর্মীরা বাংলাদেশ ও চীনের পতাকা হাতে ট্রেনটিকে স্বাগত জানান। দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে ট্রেনটি খুব ধীরগতিতে পদ্মা সেতুর নিচের ডেকে প্রবেশ করে। পদ্মা সেতুতে রেল চলাচলের ফলে আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ ঢাকা থেকে অতি দ্রুত যশোর পৌঁছা যাবে। ঢাকা থেকে বর্তমানে খুলনার দূরত্ব রেলপথে ২১২ কিলোমিটার কমে যাবে। মোংলা বন্দরের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি যোগাযোগও স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সুফল ভোগ করবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৪ কোটি মানুষ। পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল বাংলাদেশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে ভুয়া অজুহাত তুলে। সে প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।  পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন ছিল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দুঃসাহসিক পরিকল্পনা। সে পরিকল্পনা এখন প্রায় বাস্তবায়নের পথে। পদ্মার ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে রচিত হলো নতুন ইতিহাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর